RG Kar

অপপ্রচারের অভিযোগ আর জি করের প্রাক্তনীদের

তাপস-সহ অন্যদের দাবি, অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ওই জুনিয়র চিকিৎসকদের বিরুদ্ধেই এত দিন হুমকি প্রথা চালানোর অভিযোগ রয়েছে। কলেজের চিকিৎসক, পড়ুয়া, কর্মী সকলের সঙ্গে কথা বলে কলেজ কাউন্সিল ৫১ জনের বিরুদ্ধে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের নিয়ম মেনে ব্যবস্থা নিয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ০৯:৩০
Share:

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তনী। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক-ছাত্রীকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনে সব সময়েই পাশে থেকেছেন ওই মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তনীরা। তাঁদের বিরুদ্ধে এ বার জুনিয়র চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশন অপপ্রচার করছে বলে শনিবার দাবি করল আর জি করের প্রাক্তনী সংসদ।

Advertisement

অভিযোগ, প্রাক্তনী সংসদকে জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের ‘বি-টিম’ বলে দাবি করেছেন অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যেরা। তা খণ্ডন করে প্রাক্তনী সংসদের সম্পাদক তাপস ফ্রান্সিস বিশ্বাস বলেন, ‘‘সন্দীপ ঘোষের বাহিনীর সদস্যেরা মিলে ওই জুনিয়র চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশন তৈরি করেছেন। অথচ ওঁদের বিরুদ্ধেই বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।’’ তাপসের দাবি, অ্যাসোসিয়েশনের তরফে অভিযোগ করা হচ্ছে, আন্দোলনের নামে প্রাক্তনীরা অনৈতিক ভাবে টাকা তুলছেন। এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানিয়ে এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে তাপস বলেন, ‘‘প্রাক্তনী সংসদ কোনও অনৈতিক কাজ করেনি। আমাদের বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে। তার জন্য নিজেদের সদস্যদের থেকে অর্থ সংগ্রহ করেছি। যে যা টাকা দিয়েছেন, প্রতিটির নথি ও হিসাব রয়েছে। বাইরের কারও থেকে কোনও টাকা আমরা তুলিনি।’’

তাপস-সহ অন্যদের দাবি, অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ওই জুনিয়র চিকিৎসকদের বিরুদ্ধেই এত দিন হুমকি প্রথা চালানোর অভিযোগ রয়েছে। কলেজের চিকিৎসক, পড়ুয়া, কর্মী সকলের সঙ্গে কথা বলে কলেজ কাউন্সিল ৫১ জনের বিরুদ্ধে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের নিয়ম মেনে ব্যবস্থা নিয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। সেই মামলায় তাঁরাও অংশ নিচ্ছেন বলে জানান তাপস। তাঁর কথায়, ‘‘সন্দীপের বাহিনী তথা অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যেরা কোনও দিন ঠিক মতো ডিউটি করতেন না। উল্টে রোগীর পরিজন, পড়ুয়াদের থেকে তোলাবাজি করতেন। এ ছাড়াও, বিভিন্ন অনৈতিক কাজে তাঁরা যুক্ত ছিলেন। সেই জন্য আর্থিক দুর্নীতি মামলায় আশিস পাণ্ডে জেল খাটছে।’’

Advertisement

তবে জুনিয়র ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে প্রণয় মাইতি বলেন, ‘‘আন্দোলনের নামে বিভিন্ন ভাবে টাকা তোলার প্রমাণ রয়েছে। প্রাক্তনী সংসদের এক পদাধিকারী কলেজের তদন্ত কমিটিতে বিচারকের ভূমিকায় থেকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর মামলায় এখনও ওঁরা যুক্ত হতে পারেননি বলেই জেনেছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement