কলকাতা পুরসভা। —ফাইল চিত্র।
বুধবার রাতে পাথুরিয়াঘাটায় জীর্ণ বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয় ইলা আগারওয়াল নামে এক মহিলার। তাঁর স্বামী অজয় আগারওয়াল এখনও সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পাঁচতলা ওই বিপজ্জনক বাড়ির কোনও অংশ বাসযোগ্য না হওয়ায় পুলিশ সেখানে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না। প্রায় ১০০ জন বাসিন্দার কেউ আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন, কেউ বা মন্দিরের চাতালে। শুক্রবার পুরভবনে ওই বাড়ির বাসিন্দা আটটি পরিবারের হাতে ‘সার্টিফিকেট অব অকুপেন্সি’ তুলে দেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বুধবারের দুর্ঘটনায় মৃতার বড় ছেলেও শংসাপত্র নেন। এ দিন মেয়র বলেন, ‘‘বাড়িটা যে কোনও মুহূর্তে পুরোপুরি ভেঙে পড়তে পারে। আমার অনুরোধে বাসিন্দারা বাড়ি ছেড়ে দেওয়ায় আমি কৃতজ্ঞ। বাড়িটা নতুন করে তৈরি হলে মালিক যেমন অতিরিক্ত নির্মাণের অনুমতি পাবেন, ভাড়াটেরাও সুবিধা পাবেন।’’
মেয়র আরও বলেন, ‘‘নতুন পুর আইন মেনে বিপজ্জনক বাড়ি ছাড়লে পুরসভা ভাড়াটেদের দেখবে। ওই জায়গায় নতুন বাড়ি তৈরি করার সময়ে প্রস্তাবিত নকশায় সমস্ত ভাড়াটের জন্য জায়গা রাখতে হবে।’’ ওই বিপজ্জনক বাড়ির মালিক এখনও বেপাত্তা। স্থানীয় পুরপ্রতিনিধি ইলোরা সাহা বলেন, ‘‘ভাড়াটেদের কোথায় আশ্রয় দেওয়া যায়, তা দেখছি। বাড়ি ভেঙে পুনর্নির্মাণ করতে হলে অবশ্যই মালিকের অনুমতি প্রয়োজন। এ বিষয়ে মেয়রের সঙ্গে কথা বলব।’’
এ দিকে, ইলা ও অজয়ের বড় ছেলে আদর্শ বলেন, ‘‘কলকাতায় এমন কয়েক হাজার বিপজ্জনক বাড়ি আছে, যেখানে লোকজন বসবাস করছেন। তাঁদের কাছে বিনীত আবেদন, আমার মতো করুণ দশা আপনাদের যাতে না হয়, তার জন্য শীঘ্রই বাড়ি ছেড়ে পুরসভার সাহায্য নিন।’’