Rain

জোড়াতাপ্পির মেরামতি শুরু বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে 

বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের খালাসিকোটা থেকে যশোর রোড পর্যন্ত অংশের বেহাল দশার কথা বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২০ ০১:৫৩
Share:

বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের একাংশে মেরামতির কাজ চলছে বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

পাথর আর খোয়া ফেলে বৃহস্পতিবার বৃষ্টির মধ্যেই জোড়াতাপ্পি দিয়ে ভরাট করা হল বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের খানাখন্দ। তবে সেই কাজের ধরন দেখে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, এই জোড়াতাপ্পির আয়ু কত দিন? তাঁদের বক্তব্য, এ বছরের বর্ষা শেষ হওয়ার আগেই ফের আগের চেহারায় ফিরে যাবে ওই রাস্তা।

Advertisement

বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের খালাসিকোটা থেকে যশোর রোড পর্যন্ত অংশের বেহাল দশার কথা বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। তার পরেই এ দিন সকালে শুরু হয় ওই অংশে জোড়াতাপ্পি দেওয়ার কাজ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বৃষ্টির মধ্যেও সেই কাজ চলতে থাকে। ওই এলাকার একটি আবাসনের বাসিন্দা সমীরবরণ সাহা বললেন, ‘‘বৃষ্টির মধ্যে শুধু পাথরকুচি আর খোয়া ফেলে রাস্তা সারাই করতে দেখে খুব অবাক হয়ে যাই। যাঁরা রাস্তা সারাচ্ছিলেন, তাঁদের গিয়ে প্রশ্ন করি, এ ভাবে কাজ হলে রাস্তা কত দিন টিকবে? ওঁরা নিজেরাই জানালেন, বেশি দিন টিকবে না। বেশি বৃষ্টি হলে আবার গর্ত হয়ে যাবে। তখন ওঁদের প্রশ্ন করি, এই ভাবে গর্ত

বুজিয়ে তা হলে লাভ কী? এর কোনও উত্তর পাইনি।’’

Advertisement

এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, স্থায়ী মেরামতির বদলে এ ভাবে পাথর আর খোয়া ফেলে রাস্তা সারানো হলে তা আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠবে। মূল রাস্তা খারাপ হওয়ায় সার্ভিস রোড দিয়ে ক্রমাগত গাড়ি যাওয়ায় সেই রাস্তাও ভেঙে যাচ্ছে।

বাসিন্দাদের প্রশ্ন, রাস্তা ভাল ভাবে মেরামতির জন্য আর কত দিন অপেক্ষা করতে হবে? বর্ষা শেষ না হলে কি সেই কাজে হাত পড়বে না? তত দিন পর্যন্ত এই ভোগান্তি চলবে?

বিধাননগর পুরসভার এক ইঞ্জিনিয়ারের মতে, বিটুমিন, অর্থাৎ রাস্তা তৈরির যে প্রধান উপাদান, তার সঙ্গে জলের একটা শত্রুতা আছে। জলে বিটুমিন দ্রুত ভেঙে যায়। তাই বৃষ্টির মধ্যে রাস্তা সারাই

না-করাই ভাল। তবে বর্ষাকালে তো সব সময়ে টানা বৃষ্টি হয় না। সেই শুকনো সময়ে এক বিশেষ ধরনের বিটুমিন ব্যবহার করে রাস্তা সারালে তা টেকসই হয়।

বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ‘ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি’র তরফে জানানো হয়েছে, মানুষের ভোগান্তি দূর করতে বর্ষার মধ্যে তড়িঘড়ি করে রাস্তা সারানো হল। কিন্তু খুব দ্রুত স্থায়ী সমাধান করা হবে। জল নিকাশির সমস্যার জন্য ওই অংশে রাস্তায় জল জমে থাকছে। তাতেই তৈরি হচ্ছে গর্ত। ওই এলাকার নিকাশি ঠিক করে রাস্তা সারানোর কাজ করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement