অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মতো তাঁর বক্তব্য লিখিত আকারে জমা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে। সেখানে অভিষেকের আইনজীবী তাঁর মক্কেলের বক্তব্যের প্রতিলিপি জমা দিয়েছেন। তবে এই মামলার রায় ঘোষণা স্থগিত রয়েছে।
এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁর বক্তব্য জমা দিতে তিন দিন সময় চেয়েছিলেন অভিষেক। কিন্তু মঙ্গলবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ নির্দেশ দেন বুধবারই জমা করতে হবে লিখিত বক্তব্য। সেই অনুযায়ী, বুধবার আদালতে তথ্য জমা দিলেন অভিষেকের আইনজীবী। উল্লেখ্য, আদালতের নির্দেশ অনুসারে মঙ্গলবারই লিখিত বক্তব্য জমা দিয়ে দিয়েছে (ইডি)।
প্রসঙ্গত, প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় রক্ষাকবচ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন অভিষেক। যার প্রেক্ষিতে হাই কোর্ট তাঁকে জানায়, নতুন করে কোনও রক্ষাকবচের প্রয়োজন নেই তাঁর। কারণ, ইডি আগেই এ ব্যাপারে মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছে। এ যাবৎ সেই প্রতিশ্রুতি তারা পালনও করেছে। অভিষেকের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তকারী সংস্থা ইডি ১০ সেপ্টেম্বর অভিষেককে সমন পাঠিয়েছে। গত বুধবার তাঁকে ইডির দফতরে হাজির হতে বলা হয়। এর আগেও তাঁকে সমন পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু মামলা বিচারাধীন থাকাকালীন কী ভাবে ইডি নতুন সমন পাঠাতে পারে? সে ক্ষেত্রে ধরে নিতে হবে, ইডি নিজের পদক্ষেপেকেই চ্যালেঞ্জ করেছে। অভিষেকের বিরুদ্ধে কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই। শুধুমাত্র লোক দেখানো তদন্তের জন্য সমন করা হয়েছে। তাই অভিষেককে রক্ষাকবচ দেওয়া হোক।
পাল্টা ইডির আইনজীবী জানিয়েছিলেন, এখানে গ্রেফতারির প্রশ্নই উঠছে না। তা হলে তাঁকে রক্ষাকবচ দেওয়ার প্রশ্নই বা আসছে কোথা থেকে? অভিষেককে সমন পাঠানো হয়েছে। তদন্তের প্রয়োজনে তাঁর হাজিরা দেওয়া কথা। অনেককেই তো সমন পাঠানো হয়। সবাইকে কি গ্রেফতার করা হয়? এর পরে বিচারপতি ঘোষ জানান, এত দিন ধরে মামলা চলছে। মৌখিক ভাবে রক্ষাকবচ দেওয়া রয়েছে। এখন এ নিয়ে আর কোনও নির্দেশ দেবে না আদালত।