Baranagar

বিকট শব্দে বাড়ি ধসে বরাহনগরে মৃত্যু, প্রোমোটারি চক্রের জের? উঠল অন্তর্ঘাতের অভিযোগ

রাতে আচমকাই বিকট শব্দ পেয়ে চমকে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দেখা যায় জরাজীর্ণ বাড়িটির অর্ধেক অংশই ছাদ থেকে নেমে এসেছে মাটিতে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় আশপাশের কিছু বাড়িও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২২ ১১:৪২
Share:

বরানগরে ভেঙে পড়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপেই এনে রাখা হয়েছে মৃতার দেহ। নিজস্ব চিত্র।

বিকট শব্দে আচমকাই একটি বসতবাড়ি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বরাহনগরে। মঙ্গলবার রাতে ওই ঘটনায় বাড়ির একমাত্র বাসিন্দা ৬০ বছরের এক প্রৌঢ়ার মৃত্যু হয়েছে। বাড়িটি বহু পুরনো। ওই প্রৌঢ়াই ছিলেন বাড়ির একমাত্র বাসিন্দা। যদিও বাড়ি ভাঙার ঘটনাটি স্রেফ দুর্ঘটনা বলে মানতে নারাজ মৃতার পরিবার। তাঁর মেয়ে পুলিশের কাছে এই ঘটনায় অন্তর্ঘাতের অভিযোগ দায়ের করেছেন।

Advertisement

মঙ্গলবার রাতের দিকে ঘটনাটি ঘটে বরাহনগরের টিএন চ্যাটার্জি স্ট্রিটে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রাতে আচমকাই বিকট বিস্ফোরণের মতো একটি শব্দ পেয়ে চমকে ওঠেন তাঁরা। তার পরই বাইরে এসে দেখতে পান ভেঙে পড়া বাড়িটি। একতলা বাড়ির প্রায় অর্ধেকটাই ছাদ সমেত নেমে এসেছিল মাটিতে। আশপাশের বাড়ির বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের শব্দের সঙ্গে সঙ্গে কেঁপে ওঠে তাঁদের বাড়িও। বেশ কয়েকটি বাড়ির জানলার কাচও ভেঙে পড়ে সেই শব্দ এবং কাঁপুনিতে। পরে ঘটনাস্থল থেকে ভেঙে পড়া বাড়ির বাসিন্দা ওই প্রৌঢ়াকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু আঘাত গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসা চলাকালীনই মৃত্যু হয় তাঁর।

এই ঘটনার নেপথ্যে প্রোমোটিং সংক্রান্ত অশান্তি থাকতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়দের অনেকেই। বাড়িটি জীর্ণদশা হলেও আচমকা ভেঙে পড়ার কারণ কী হতে পারে সে ব্যাপারে সন্দিহান পাড়ার লোকজন। যদিও পুলিশ এ ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি। বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন ব্যারাকপুরের ডিসি। তিনি জানিয়েছেন, স্থানীয়রা বিস্ফোরণের অভিযোগ করলেও ঘটনাস্থলে বারুদের কোনও গন্ধ পাওয়া যায়নি। তবে গ্যাসের গন্ধ পাওয়া গিয়েছে। পুলিশের অনুমান রান্নাঘরের গ্যাস সিলিন্ডার থেকে গ্যাস লিক করে থাকতে পারে। যদিও সিলিন্ডার বিস্ফোরণেরও কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কী করে ঘটনাটি ঘটল তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এ ছাড়া মৃতার মেয়ে যে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ এনেছেন সেই সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement