Talk to Mayor

বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ জানিয়ে ‘প্রহৃত’ মহিলা

‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ জানানোর পরে অতীতেও একাধিক বার অভিযোগকারীকে মারধর, হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ০৭:৫৮
Share:

কলকাতা মেয়র ফিরহাদ হাকিম। —ফাইল চিত্র।

বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে সরব হয়ে ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে অভিযোগ করায় এক মহিলাকে মারধরের অভিযোগ উঠল। এমনকি, তাঁর অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে প্রোমোটারের বিরুদ্ধে।

Advertisement

শনিবার ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানের মাঝপথে ফোন করেন ৬৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা, নাসরিন বেগম নামে এক মহিলা। কাঁদতে কাঁদতে তিনি মেয়রের কাছে অভিযোগ করেন, পার্ক সার্কাসের কড়েয়া রোডে তাঁর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অফিসের পাশেই বেআইনি পাঁচতলা একটি বাড়ি তৈরি হচ্ছে। বাড়িটি দোতলা পর্যন্ত নির্মাণের অনুমতি রয়েছে। তিনি এর আগে ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে ফোন করে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তার পরেই পুরসভার তরফে ওই নির্মাণ থামানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে। ওই মহিলা এ দিন মেয়রের কাছে অভিযোগ করেন, তিনি বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় তাঁকে অভিযুক্ত প্রোমোটার মারধর করেছেন। মেরে তাঁর দাঁত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এমনকি, তাঁর অফিসেও হামলা চালানো হয়েছে। পুলিশে জানিয়েও লাভ হয়নি বলেও অভিযোগ তাঁর। এ দিন নাসরিনকে মেয়র ফিরহাদ হাকিম আশ্বাস দেন, তিনি পুলিশ কমিশনারকে পুরো বিষয়টি জানাবেন। দোষীদের বিরুদ্ধে যাতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সে বিষয়ে পুলিশকে বলবেন তিনি।

‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ জানানোর পরে অতীতেও একাধিক বার অভিযোগকারীকে মারধর, হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। এ প্রসঙ্গে এ দিন মেয়র জানান, বেআইনি নির্মাণ, পুকুর ভরাটের প্রতিবাদে কেউ ফোন করলে তাঁরা যেন পরিচয় গোপন রাখেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, পরিচয় গোপন রেখে কি মূল সমস্যার সমাধান হবে? এর আগেও রাজাবাজারে জঞ্জাল ফেলার প্রতিবাদ জানিয়ে নালিশ করায় এক ব্যক্তির মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এ দিনও পার্ক সার্কাসের বাসিন্দা ওই মহিলা কাঁদতে কাঁদতে মেয়রের কাছে প্রশ্ন রাখেন, ‘‘বেআইনি নির্মাণের প্রতিবাদ করায় মারধর ও আমার অফিস ভাঙচুর করা হল। এর পরে পুরসভা ওই বেআইনি নির্মাণ ভেঙে দিলে কি আমি খুন হয়ে যাব?’’ ওই মহিলার নিরাপত্তা নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে। মেয়রের অনুষ্ঠানে সরাসরি তাঁকে অভিযোগ জানালে যদি নিরাপত্তাই না থাকে, তা হলে লাভ কী? তা হলে কি বেআইনি নির্মাণ নিয়ে অভিযোগ জানানোর পরে অভিযোগকারীকে শাসানোর সঙ্গে পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের একটি অংশও জড়িত? নাকি বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত অভিযোগ পেলেও তা দ্রুত ভাঙার অন্তরায় পুরসভা ও পুলিশের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব? এই সব প্রশ্নের উত্তরে মেয়রের যদিও সাফাই, ‘‘অনেকে ভুয়ো অভিযোগ করেন। সব অভিযোগ সত্যি নয়।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement