Unnatural Death

আগরপাড়ায় মেয়েকে ‘খুন করে আত্মঘাতী’ মা

এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ বাড়ি থেকে দুশো মিটার দূরের বাজারে গিয়েছিলেন রজতেন্দ্র। পুলিশকে রজতেন্দ্র জানিয়েছেন, তিনি বাজার থেকে ফিরে গ্রিলের গেট খুলে ঘরে ঢুকেই দেখেন, দিয়া মেঝেতে উপুড় হয়ে পড়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৬:৩১
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

বাইরে থেকে বাড়ির গ্রিলের গেট বন্ধ করে বাজারে গিয়েছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী। কিন্তু কিছু ক্ষণ পরে ফিরে এসে তিনি দেখেন, ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছেন মেয়ে। আর সিলিং থেকে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন স্ত্রী! বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে আগরপাড়ায়। পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতদের নাম মৌসুমী সান্যাল (৫৪) ও দিয়া সান্যাল (২০)। ব্যারাকপুরের নগরপাল অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মহিলা মেয়েকে খুন করে আত্মঘাতী হন। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ আগরপাড়ার পিরতলায় স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন রজতেন্দ্রশরণ সান্যাল। তিনি কৃষি দফতরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। স্থানীয়েরা জানান, পরিবারটি ছিল অত্যন্ত ভদ্র। ওই ব্যক্তি এলাকায় নির্দিষ্ট কয়েক জনের সঙ্গে কথা বললেও স্ত্রী ও মেয়ে কারও সঙ্গে তেমন মিশতেন না।

Advertisement

এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ বাড়ি থেকে দুশো মিটার দূরের বাজারে গিয়েছিলেন রজতেন্দ্র। পুলিশকে রজতেন্দ্র জানিয়েছেন, তিনি বাজার থেকে ফিরে গ্রিলের গেট খুলে ঘরে ঢুকেই দেখেন, দিয়া মেঝেতে উপুড় হয়ে পড়ে। আর গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন মৌসুমী। এই ঘটনা দেখে তড়িঘড়ি বাজারে গিয়ে এক ফল বিক্রেতাকে বিষয়টি জানান রজতেন্দ্র। ওই যুবক আবার ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। তিনি পাড়ার অন্যদের ডেকে নিয়ে ওই বাড়িতে আসেন। আসে খড়দহ থানার পুলিশও। স্থানীয়েরা জানান, তাঁরা ওই বাড়ি থেকে মা ও মেয়ের মধ্যে ঝগড়ার আওয়াজ পাননি।

দিয়া গত বছর নিট পরীক্ষা দিয়েছিলেন। কিন্তু অকৃতকার্য হন। ফের সেই পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তীব্র অবসাদেও ভুগছিলেন। সে জন্য চিকিৎসাও চলছিল। তদন্তকারীদের তিনি জানান, মা-মেয়ের প্রায়ই ঝামেলা হত। মেয়েকে নিয়ে অবসাদে ছিলেন মৌসুমীও। পুলিশ জানিয়েছে, শ্বাসরোধ হওয়ায় দিয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement