শপিং মলের ভিতর ছড়িয়ে গিয়েছে কালো ধোঁয়া। ছবি: প্রীতম হালদার
ফের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা শহর কলকাতায়। শুক্রবার দুপুরে কসবার অ্যাক্রোপলিস মলে আগুন লাগে। দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায়। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, মলের চার তলায় যেখান ‘ফুড কোর্ট’ রয়েছে, সেখানেই প্রথম আগুন দেখা যায়। তড়িঘড়ি সকলকে শপিং মলের ওই অংশ থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। মুহূর্তের মধ্যে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় এলাকা। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে শপিং মলে উপস্থিত সাধারণ মানুষের মধ্যে।
কালো ধোঁয়ায় অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থদের কাউকে কাউকে পাঁজাকোলা করে সিঁড়ি দিয়ে নামিয়ে আনা হয়। আতঙ্কে অনেকে কালো ধোঁয়ার মধ্যেই সিঁড়ি দিয়ে নীচে নামতে থাকেন। বাকিদেরও তড়িঘড়ি সিঁড়ি দিয়ে নামিয়ে আনা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের এক জন জানান, শপিং মলের তিনটি তলা জুড়ে কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে উপস্থিত অনেকেরই শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, মলের কর্মীরা পাশের গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে আশ্রয় নিয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশের বক্তব্য, নামার সিঁড়িতেও আবর্জনার স্তুপ ছিল। ফলে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে তড়িঘড়ি নীচে নামতে গিয়ে অসুবিধার সম্মুখীন হন অনেকে।
(বাঁ দিকে) মলের বাইরে কালো ধোঁয়া। সিঁড়ি দিয়ে নামানো হচ্ছে সকলকে (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র
মলটির চার তলায় ‘ফুড কোর্টে’র সঙ্গেই রয়েছে সিনেমাহল। সপ্তাহান্তে সেখানে বেশ কয়েক জন ভিড়ও জমিয়েছিলেন। কালো ধোঁয়া দেখেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে উপস্থিত সকলের মধ্যে। দমকলের তরফে জানানো হয়েছে, কালো ধোঁয়ার কারণে আগুন নেভানোর কাজ ব্যাহত হচ্ছে। অক্সিজেন মাস্ক পরে কাজ করছেন দমকলকর্মীরা। বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। আপাতত কাচ ভেঙে ধোঁয়া বার করে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আনা হয়েছে দু’টি হাইড্রলিক মই। সেগুলির মাধ্যমে আগুনের উৎসস্থলে পৌঁছনোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
পুলিশ এবং দমকলের তরফে জানানো হয়েছে, আগুন এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। ভিতরে কেউ আটকে নেই। আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি জানান, কী কারণে আগুন লাগল, তা তদন্ত করে দেখা হবে। ফরেন্সিক দলকেও কাজে লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গত মঙ্গলবারই পার্ক স্ট্রিটে অ্যালেনপার্কের উল্টো দিকের একটি বহুতলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পার্ক সেন্টার নামের ওই বহুতলের উপরের তলায় একটি নাইট ক্লাব তথা রেস্তরাঁ ছিল। রেস্তরাঁর ভিতরে নানা দাহ্যপদার্থ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ওই অগ্নিকাণ্ডের ঠিক চার দিনের মাথায় আবার একটি আগুন লাগার ঘটনা ঘটল কলকাতায়।