চিকিৎসকদের একাংশের কর্মবিরতিতে আপত্তি জানিয়ে হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ। —ফাইল চিত্র।
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে কর্মবিরতিতে চিকিৎসকদের একটি বড় অংশ। জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে সিনিয়ররা। এ সবের মধ্যেই সোমবার কর্মবিরতিতে আপত্তি জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন কুণাল সাহা নামে জনৈক এক চিকিৎসক। তাঁর বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা না মেনে কর্মবিরতি করছেন চিকিৎসকরা। এমন অবস্থায় ওই চিকিৎসকদের যাতে কাজে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়, সেই আর্জি নিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন। সোমবারই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে গত কয়েক দিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি চিকিৎসকরা প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন। যদিও আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা শুরু থেকেই দাবি করছেন, হাসপাতালের জরুরি পরিষেবার উপর কোনও প্রভাব পড়ছে না। সিনিয়র চিকিৎসকরা পরিষেবা চালু রেখেছেন বলে দাবি। তবে সিনিয়র চিকিৎসকরা কাজে যুক্ত থাকলেও, শুধু মাত্র তাঁদের মাধ্যমে রোগী পরিষেবা কতটা স্বাভাবিক রাখা যাবে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, সরকারি হাসপাতালগুলিতে প্রচুর রোগীর ভিড় থাকে। কলকাতার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে দূরবর্তী জেলা থেকেও রোগী ও তাঁদের পরিজনরা আসেন।
আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় প্রতিবাদের ছবি দেখা গিয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তেও। দেশের অন্যতম বড় চিকিৎসক সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন শনিবার ২৪ ঘণ্টার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল। বহির্বিভাগের পরিষেবা ও পূর্বনির্ধারিত সমস্ত অস্ত্রোপচারও বন্ধ ছিল। যার প্রভাব পড়েছিল দেশজুড়ে। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই আন্দোলনরত চিকিৎসকদের কাজে ফেরার জন্য অনুরোধ করেছেন। কেন্দ্রের তরফেও অনুরোধ করা হয়েছে যাতে চিকিৎসকরা কাজে ফেরেন। তবে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত-সহ একাধিক দাবিতে কর্মবিরতিতে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা।