এসএসকেএম হাসপাতাল।—ফাইল চিত্র।
বাবার মৃত্যু ঘিরে এসএসকেএমের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে ফেসবুকে বিবৃতি দিলেন এক সরকারি চিকিৎসক। পরে চিকিৎসক মহল থেকে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার জেরে পোস্ট মুছে দেন তিনি।
১১ অগস্ট এসএসকেএমে মৃত্যু হয় কোন্নগরের সুধীরকুমার ঘোষের (৮৩)। তাঁর চিকিৎসক-পুত্র জানান, ১ অগস্ট ভেন্টিলেটর থেকে রোগীকে বার করানোর জন্য ‘কল’ দিয়েছিল সার্জারি বিভাগ। কিন্তু অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগের আরএমও নোটে লেখেন, ‘এখন ব্যস্ত। আগামিকাল সকাল ১০টার পরে পাঠান’! ওই কলের প্রায় ৩০ ঘণ্টা পরে অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগের চিকিৎসক আসেন। তখন বৃদ্ধকে আর ভেন্টিলেটর থেকে বার করানোর অবস্থা ছিল না।
স্বাস্থ্য ভবনের খবর, ঘনিষ্ঠ মহলে সুধীরবাবুর ছেলে জানান, বাবার অবস্থা বিচার করে ভেন্টিলেটর থেকে বার করার জন্য অ্যানাস্থেটিস্টকে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ওই নোট কি দিতে পারেন? পাশাপাশি রোগীর রক্তক্ষরণের নিরিখে যথেষ্ট প্লেটলেট দেওয়া হয়েছিল কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। ঘটনা হল, দাহ করার সময়েও মৃতের নাক-মুখ দিয়ে তাজা রক্ত বার হচ্ছিল। চিকিৎসক হিসাবে বিষয়গুলি তিনি ধরতে পেরেছেন বলে দাবি মৃতের পুত্রের। এ নিয়ে এসএসকেএমের অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।