—প্রতীকী চিত্র।
তারাতলায় একটি বন্ধ কারখানা থেকে উদ্ধার হল এক যুবকের মৃতদেহ। সেখান থেকেই আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে আর এক জনকে। বছর ষোলোর ওই কিশোরকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ পড়ে থাকা সেই কারখানায় এই দু’জন কী করছিলেন, তা মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জেনেছে, দু’জনেরই কাজ ছিল নানা ধরনের জিনিস কুড়নো। সেই জন্যই বন্ধ পড়ে থাকা কারখানায় তাঁরা ঢুকেছিলেন বলে অনুমান।
পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতের নাম রঞ্জিতকুমার দাস। বছর পঁচিশের রঞ্জিত সোনারপুর রোডে থাকতেন। আহত কিশোরের নাম মোবারক শেখ। বছর ষোলোর মোবারক ব্রেস ব্রিজ সংলগ্ন ইন্দ্রপল্লিতে থাকে। রঞ্জিতের পরিবার পুলিশকে জানিয়েছে, মেটাল বক্স কোম্পানিতে কাজে যাচ্ছেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন রঞ্জিত। কিন্তু ট্রান্সপোর্ট ডিপার্টমেন্ট রোডের ওই কারখানাটি গত প্রায় ১৫ বছর ধরে বন্ধ। প্রায়ই সেখান থেকে জিনিসপত্র চুরির অভিযোগ আসে। কারখানা ভবন পাহারা দেওয়ার জন্য এক জন কর্মী থাকলেও কোনও সুরাহা হয় না বলে অভিযোগ।
কারখানার সেই নিরাপত্তাকর্মীর দাবি, ওই দু’জন গোপনে কারখানায় ঢুকেছিলেন। প্রায়ই এ ভাবে অনেকে সেখানে ঢুকে চুরি করেন। কারখানার অ্যাসবেস্টসের চালের উপর দিয়ে যাওয়ার সময়ে হঠাৎই সেটি ভেঙে তাঁরা নীচে পড়ে যান। পড়ার পরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রঞ্জিতের। মোবারককে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুলিশ যদিও জানিয়েছে, মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই স্পষ্ট হবে। আহত কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও পরে এ বিষয়ে তথ্য জানা যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।