—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
নিউ মার্কেটের পরে এ বার নিউ টাউন। অভিযুক্তের হাতে ফের মার খেল পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে নিউ টাউনের রাস্তায় মোটরবাইক নিয়ে প্রমোদভ্রমণের জেরে দুর্ঘটনার শিকার হন এক ব্যক্তি। অভিযুক্তকে কর্তব্যরত ট্র্যাফিক পুলিশকর্মী ধরতে গেলে তাঁকে ওই বাইকচালক মারধর করেন বলেও অভিযোগ। পরে অবশ্য স্থানীয় লোকজন সৌভিক রায় নামে বাগুইআটির বাসিন্দা ওই বাইকচালককে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন। ইকো পার্ক থানার পুলিশ সৌভিককে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন সকালে নিউ টাউনের বন্দের মোড়ের সিগন্যালে একটি বাইক এসে দাঁড়ায়। পিছন থেকে বেপরোয়া গতিতে বাইক নিয়ে আসছিলেন দুই যুবক। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁরা সামনে দাঁড়ানো বাইকে সজোরে ধাক্কা মারেন। যার জেরে দু’টি বাইক থেকে তিন জনই ছিটকে পড়েন। সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা বাইকচালক গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ট্র্যাফিকের এক কনস্টেবল। তিনি অন্য বাইকের দুই সওয়ারিকে সেখান থেকে যেতে নিষেধ করেন। অভিযোগ, তবু ওই দু’জন পালানোর চেষ্টা করেন। কনস্টেবল তাঁদের ধরতে গেলে এক জন তাঁর চোখে ঘুষি মারেন। তাঁর চিৎকারে পথচারীরা জড়ো হয়ে ওই যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
উল্লেখ্য, নিউ টাউনে বেপরোয়া ভাবে বাইক চালানোর অভিযোগ নতুন নয়। গত বছর গৌরাঙ্গনগরে মত্ত অবস্থায় দুই যুবক বাইক চালিয়ে দুর্ঘটনায় মারা যান। বছর দুই আগেও বেপরোয়া গতিতে একটি বাইক গার্ডরেল ভেঙে শুটিং স্থলে ঢুকে অভিনেতা ও অভিনেত্রীকে ধাক্কা মারে।
পুলিশ সূত্রের খবর, দিনে ট্র্যাফিকের পাহারা থাকলেও গভীর রাতে বা সকালে পাহারা শিথিল থাকে। তখন সিসি ক্যামেরার উপরেই নির্ভর করতে হয়। ফুটেজ দেখে তাই অভিযুক্ত চালককে জরিমানা করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বেপরোয়া বাইকের দাপাদাপি শুরু হয় মধ্যরাতে বা সকালে। যেমন, এ দিন সকালে হচ্ছিল বলে অভিযোগ। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, দু’টি বাইকের একটি অন্যটিকে টপকে বেপরোয়া গতিতে ছুটছিল। তাতেই দুর্ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দান, পুলিশকে মারধর-সহ একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে।