Brain Tumor

মাথা যন্ত্রণাকে অবহেলা! বাটানগরের এক মহিলার মস্তিষ্ক থেকে পাওয়া গেল পাতিলেবুর মাপের টিউমার

অনেক দিন ধরেই মাথার যন্ত্রণা হচ্ছিল মহিলার। তবে সেটিকে তিনি গুরুত্বই দেননি শুরুর দিকে। পরে এমআরআই করাতে গিয়ে ধরা পড়ে পাতিলেবুর আকারের একটি টিউমার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:৫৮
Share:

মস্তিষ্কে পাওয়া গেল পাতিলেবুর মাপের টিউমর। — প্রতীকী চিত্র।

প্রায়শই মাথার যন্ত্রণা হত বাটানগরের বাসিন্দা বছর সাতাশের এক মহিলার। ওষুধ খেয়েই চালিয়ে দিচ্ছিলেন শুরুতে। পরে বেশ কয়েক জন চিকিৎসকে পরামর্শ নেন মহিলা। তবে মাথার যন্ত্রণা কমেনি। শেষে এমআরআই করিয়ে ধরা পড়ল প্রায় পাতিলেবুর আকারের একটি টিউমার রয়েছে মস্তিষ্কে। অস্ত্রোপচার করা হয় মহিলার। প্রায় সাড়ে সাত ঘণ্টা ধরে চলা অস্ত্রোপচারেরে পর বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন তিনি।

Advertisement

ঘন ঘন মাথার যন্ত্রণা হলেও প্রথমে সেটিতে বিশেষ গুরুত্ব দেননি মহিলা। ওষুধের দোকান থেকে মাথা যন্ত্রণার ওষুধ কিনে খেতেন। তাতে বিশেষ সুরাহা হত না। পরিবার-পরিজনের কথা শুনে কয়েকজন চিকিৎসকেরও পরামর্শ নেন। কিন্তু মাথা যন্ত্রণা কিছুতেই না কমায় শেষে কলকাতায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে আসেন তিনি। সেখানে নিউরোসার্জেন চিকিৎসক অমিতাভ চন্দের পরামর্শ নেন। চিকিৎসকের কাছে নিজের শারীরিক সমস্যার কথা জানান তিনি। সেখানে প্রথম দিকে সন্দেহজনক কিছু না লাগলেও, চিকিৎসকের খটকা লাগে মহিলা ওই কক্ষ ছাড়ার সময়। মহিলা জানান, তাঁর শরীর টাল খাচ্ছে। ঠিকঠাক ভারসাম্য রাখতে পারছে না শরীর।

মহিলার এ কথা শুনে সন্দেহ হয় চিকিৎসকের। তিনি এমআরআই করানোর পরামর্শ দেন। তাতেই ধরা পড়ে মস্তিষ্কে বড় মাপের একটি টিউমার। প্রায় পাতিলেবুর মাপের টিউমারটি। সাধারণত কোনও টিউমারের মাপ ১৫-২০ সিসির হলেই সেটিকে বড় বলে ধরা হয়। মহিলার টিউমারের মাপ ছিল ৪০ সিসি। তার উপর সেটি আকারে বড় হওয়ার কারণে মস্তিষ্কে অন্য কোষগুলির উপর চাপ তৈরি হচ্ছিল। পরে চিকিৎসকেরা জানতে পারেন, মাঝেমধ্যে মহিলার শরীরের একটি দিক অবশ হয়ে যেত। সন্দেহ করা হচ্ছে, মস্তিষ্কের টিউমারের কারণেই শরীরের একাংশ অবশ হয়ে যেত। শরীর মাঝেমধ্যে টাল খাওয়ার কারণও এই টিউমারও। এ ধরনের ক্ষেত্রে যা অনেক সময়েই দেখা যায়। অনেক সময় মস্তিষ্কে টিউমারের চাপের কারণে চোখের সমস্যাও দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

Advertisement

মস্তিষ্কে টিউমারের অস্ত্রোপচার আজকের দিনে নতুন নয়। তবে এই মহিলার ক্ষেত্রে সেটি চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠে টিউমারের বড় আকারের কারণে। তার সঙ্গে মস্তিষ্কের যে জায়গায় টিউমারটি ছিল, সেটিও সচরাচর দেখা যায় না। টিউমারের অবস্থান এবং আকার— এই দুইয়ের জন্যই মহিলার অস্ত্রোপচারের সময় বাড়তি সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। প্রায় সাড়ে সাত-আট ঘণ্টা ধরে চলে অস্ত্রোপচার। একটি ক্ষুদ্র ছিদ্র করে তা দিয়ে শক্ত টিউমারকে কুরে কুরে বার করা হয়। সিএমআরআই হাসপাতাল সূত্রে খবর, সফল অস্ত্রোপচারের পর মহিলা এখন সুস্থই রয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement