প্রতীকী চিত্র।
রোদ-বৃষ্টি-ঝড় মাথায় নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভের ১৮০ দিন, অর্থাৎ ছ’মাস পূর্ণ হল। এসএসসি পাশ করে ওয়েটিং লিস্টে থাকা নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক পদপ্রার্থীদের ধর্না এবং রিলে অনশন চলছে সল্টলেকের করুণাময়ী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন সেন্ট্রাল পার্কের পাঁচ নম্বর গেটের ধারে। এর জন্য তৈরি হয়েছে আন্দোলন মঞ্চ।
ওই চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, ছ’মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও এসএসসি কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও প্রতিশ্রুতি মেলেনি। আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁদের এই লাগাতার ধর্না অবস্থানের সময়সীমা দিল্লির কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে তুলনা করা যায়। অনশনকারীরা জানিয়েছেন, চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি থেকে লাগাতার অবস্থান-বিক্ষোভ ও রিলে অনশন শুরু করেছেন তাঁরা।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে কলকাতা প্রেস ক্লাবের সামনে তাঁরা ২৯ দিন ধরে অনশন করেছিলেন। সে দিনের প্রসঙ্গ টেনে তাঁদের অভিযোগ, ওই অনশনের ২৯তম দিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সেখানে গিয়ে প্রতিশ্রুতি দেন যে, সমস্ত অপেক্ষমাণ শিক্ষক পদপ্রার্থীদের লোকসভা ভোটের পরে নিয়োগ করা হবে। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি আজও পূরণ হয়নি। চলতি বছরের আন্দোলন চলাকালীন বিকাশ ভবন থেকে শুরু করে শিক্ষামন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী সবাইকেই তাঁরা স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তবুও কোনও হেলদোল নেই।
আন্দোলনকারীদের অন্যতম নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন, পলাশ মণ্ডল, বাপন পাত্র, ইলিয়াস বিশ্বাস, রূপম সাহারা জানান, প্রবল বৃষ্টির মধ্যে মাথার উপরে একখানা ত্রিপল ধরে কোনও রকমে অনশনের দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। তবু দাবিদাওয়া পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন তাঁরা চালিয়ে যাবেন বলেই জানিয়েছেন। এই চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ প্রসঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান শুভশঙ্কর সরকারকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি এবং মেসেজেরও কোনও উত্তর দেননি।