ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক দল। নিজস্ব চিত্র।
নিউ কয়লাঘাটে রেলভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা রুজু করল হেয়ার স্ট্রিট থানা। এই ঘটনায় ৩০৪ এ (গাফিলতির অভিযোগ) এবং দমকল আইনে মামলা রুজু হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠে এসেছে ইতিমধ্যেই। রেলভবনে যথাযথ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল কি না। যদি না থাকে, তা হলে তার দায় ভবনের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে যারা ছিল তাদের উপর বর্তাবে। পাশাপাশি, রেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ঢিলেঢালা মনোভাবের অভিযোগ উঠছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ফরেন্সিক দল। নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে তারা।
এই বহুতলে যথাযথ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল কি না, তা নিয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে দমকল। যদি না থাকে, তা হলে কেন এই ব্যবস্থা ছিল না তা নিয়েও তদন্ত করা হবে বলে জানা গিয়েছে। যখন আগুন লাগে, ভবনের কোনও নকশা পাওয়া যায়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে। যার ফলে উদ্ধারকারীদের যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। ভবনের ১৩ তলায় পৌঁছতে লিফ্টে যেতে গিয়ে মৃত্যু হয় ৯ জনের। মৃতদের মধ্যে রেলের আধিকারিক, দমকল কর্মী এবং এক জন পুলিশ আধিকারিকও রয়েছেন।
সোমবারের এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যে পুলিশ আধিকারিকের মৃত্যু হয়েছে, তিনি হেয়ার স্ট্রিট থানার এএসআই। জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় আলাদা ভাবে তদন্ত করবে হেয়ার স্ট্রিট থানা।
মঙ্গলবার সকাল থেকে অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা খতিয়ে দেখছে দমকল এবং পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, ফায়ার অ্যালার্ম না বাজার কারণেই বিপত্তি বড়েছিল। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ আগুন লাগে ১৪ তলা রেলভবনের ১৩ তলায়। আগুনের লেলিহান শিখা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে নীচের তলায়। পরিস্থিতি ক্রমে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ১০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চেষ্টা চালিয়ে মঙ্গলবার ভোর ৪টে নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন দমকল কর্মীরা।