কলকাতা পুরসভা এই কর্মসূচির নাম এখনও ঠিক করেনি। তবে আধিকারিকরা এই কর্মসূচিকে‘দুয়ারে মিউটেশন’ বলা শুরু করে দিয়েছেন। মেয়র বলেছেন, ‘‘যেভাবে দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে মানুষ শিবিরে এসে পরিষেবা পান, সেভাবেই ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে শিবির হলে মিউটেশন নিয়ে কলকাতাবাসীকে আর দৌড়াদৌড়ি করতে হবে না।’’
কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ফাইল চিত্র।
এ বার দুয়ারে মিউটেশন শুরু করছে কলকাতা পুরসভা। শনিবার কলকাতা পুরসভার সাংবাদিক বৈঠকে এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
কলকাতা পুরসভার এই নতুন কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘জমি কেনা সত্ত্বেও মিউটেশন হচ্ছে না। ফ্ল্যাট কেনা সত্ত্বেও তার অ্যাসেসমেন্ট হচ্ছে না। এমন সমস্যা প্রায়শই শোনা যায়। এখন থেকে সারা বছর আমরা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ক্যাম্প করে মিউটেশন ও আবেদনপত্র নেওয়ার কাজ করব।’’ মেয়র আরও বলেন, ‘‘নথিপত্র ওই ক্যাম্পেই নেওয়া হবে। আবেদনের ফর্মও ওই ভাবেই দেওয়া হবে। হাতে হাতেই অ্যাসেসমেন্ট করা হবে। অনেক ক্ষেত্রে অ্যাসেসমেন্ট হয়েও তা আপডেটেড হয়নি। সেইসব কাজ করা হবে এই ক্যাম্পগুলিতে।’’
কলকাতা পুরসভা এই কর্মসূচির নাম এখনও ঠিক করেনি। তবে আধিকারিকরা এই কর্মসূচিকে ‘দুয়ারে মিউটেশন’ বলা শুরু করে দিয়েছেন। মেয়র বলেছেন, ‘‘যে ভাবে দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে মানুষ শিবিরে এসে পরিষেবা পান, সে ভাবেই ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে শিবির হলে মিউটেশন নিয়ে কলকাতাবাসীকে আর দৌড়াদৌড়ি করতে হবে না।’’এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘‘মিউটেশন ৩০ দিনের মধ্যে করা হবে। মিউটেশন সহজ হলে একদিনেই হয়ে যাবে। আর যদি কিছু সমস্যা থেকে থাকে তা ৩০ দিনের মধ্যে হয়ে যাবে।’’