শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে সেই সতর্কবার্তা পাওয়ার কথা জানালেন স্বয়ং কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘নবান্ন থেকে আমাদের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। মুখ্যসচিব পর্যায় থেকেই আমাদের বার্তা পাঠানো হয়েছে। যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে আমরা প্রস্তুত।’’
ফাইল চিত্র।
অশনি ঘূর্ণিঝড় নিয়ে কলকাতা পুরসভাকে সতর্কবার্তা দিল নবান্ন। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে সেই সতর্কবার্তা পাওয়ার কথা জানালেন স্বয়ং কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘নবান্ন থেকে আমাদের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। মুখ্যসচিব পর্যায় থেকেই আমাদের বার্তা পাঠানো হয়েছে। যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে আমরা প্রস্তুত।’’ নবান্নের পাশাপাশি আলিপুর আবহাওয়া দফতর থেকেও যে কলকাতা পুরসভাকে আগাম প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে, তা-ও জানিয়েছেন মেয়র।
তবে ঘূর্ণিঝড় অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকায় হবে, এমন পূর্বাভাসে কিছুটা চিন্তামুক্ত মেয়র। কিন্তু আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গ সহ কলকাতায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তার ফলে কলকাতায় জল জমতে পারে, সে ক্ষেত্রে কলকাতা পুরসভা আগাম কোনও বন্দোবস্ত রাখছে কি? ফিরহাদ বলেন, ‘‘পূর্বাভাস অনুযায়ী, পাশের রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় ঘূর্ণিঝড় হবে। আর আমাদের কলকাতায় হবে বৃষ্টি। বৃষ্টির পর যাতে রাস্তায় দীর্ঘ সময় জল জমে না থাকে, সে বিষয়ে কলকাতা পুরসভা প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। আগামী সপ্তাহে যখনই বৃষ্টি নামুক, আমরা তৈরি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মেয়র পারিষদ (নিকাশি) তারক সিংহর নেতৃত্বে নর্দমাগুলি পরিষ্কার করার কাজ অনেকটাই হয়েছে। তাই বৃষ্টি হলে জল জমার কথা নয়।’’
প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত এই ঘূর্ণিঝড়ের বাংলার দিকে আসার কোনও পূর্বাভাস না থাকলেও ১০ থেকে ১৩ মে পর্যন্ত গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি, ১১ থেকে ১৩ মে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলির কয়েকটি জায়গায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলেও মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে।