Durga Puja 2021

Durga Puja 2021: প্রতিমা বিসর্জন থেকে দূষণ, নিয়ন্ত্রণে পরীক্ষামূলক চেষ্টা পুরসভার

ফিরহাদের দাবি, নতুন এই পদ্ধতিতে যেমন প্রতিমার গায়ে থাকা রং ও রাসায়নিক পদার্থ গঙ্গায় মিশে যাওয়া রোধ করা যাবে, তেমনই মূর্তির মাটিও পৃথক করে দেওয়া যাবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২১ ১৬:৩১
Share:

পুজো শুরুর আগেই বিসর্জনের প্রস্তুতি শুরু কলকাতা পুরসভায়। ফাইল চিত্র।

গঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জনে দূষণের অভিযোগ ওঠে প্রতিবারই। এ বার দূষণ নিয়ন্ত্রণে পরীক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। শনিবার পুরপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘দূষণ নিয়ে অনেক অভিযোগ ওঠে। তাই আমরা হেস্টিংস এলাকায় গঙ্গার একটি ঘাটে পরীক্ষামূলকভাবে প্রতিমা হোসপাইপ দিয়ে প্রতিমা গলানোর উদ্যোগ নিয়েছি।’’ পুরসভার তরফে ডিজি (জল) মৈনাক মুখোপাধ্যায়কে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁর তত্ত্বাবধানেই কলকাতা বন্দর এলাকার তক্তাঘাট এলাকায় বাছাই করা চার পাঁচটি প্রতিমাকে নিয়ে বিজয়ায়নতুন পদ্ধতিতে নিরঞ্জন হবে।

Advertisement

ফিরহাদের দাবি, নতুন এই পদ্ধতিতে যেমন প্রতিমার গায়ে থাকা রং ও রাসায়নিক পদার্থ গঙ্গায় মিশে যাওয়া রোধ করা যাবে, তেমনই মূর্তির মাটিও পৃথক করে দেওয়া যাবে। নতুন এই পদ্ধতি পরীক্ষামূলক অবস্থায় থাকায় বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি পুরসভার কোনও কর্তা। তবে, প্রথাগত বিসর্জনের জন্য কলকাতার গঙ্গার ঘাটগুলিতে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে পুরসভা।

শনিবার সকালেই প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য গঙ্গার একাধিক ঘাট পরিদর্শন করেন পুরপ্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য দেবাশিস কুমার। দই ঘাট, জাজেস ঘাট, বাজা কদমতলা ঘাট পরিদর্শন করেন তিনি। প্রতিবছর গঙ্গায় সব মিলিয়ে প্রায় চার হাজার প্রতিমা নিরঞ্জন হয়। তবে পরিদর্শনকালে দেবাশিসের নজরে এসেছে, জাজেস ঘাটে লাগোয়া রেললাইন ভেঙে গিয়েছে। ফলে ওই ঘাটে বিসর্জন প্রক্রিয়া সমস্যার মুখে পড়তে পারে। রেলকে চিঠি দিয়ে বিসর্জন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগে ওই ট্র্যাকটি মেরামত করে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছে পুরসভা।

Advertisement

কলকাতায় গঙ্গার সবক’টি ঘাটের মধ্যে বেশি বিসর্জন হয় জাজেস ঘাট, বাজা কদমতলা ঘাট এবং নিমতলা ঘাটে। এই তিনটি ঘাটে মোট চারটি ক্রেন থাকবে। বাজা কদমতলা ঘাটে একটি ক্রেন থাকবেগঙ্গার জলের ওপর থাকা বার্জের উপর। পাড়েও থাকবে একটি ক্রেন। নিমতলা এবং জাজেস ঘাটে পাড়ের উপরে একটি করে ক্রেন থাকবে। জলে প্রতিমা পড়লেই ওই ক্রেন দিয়ে সেই কাঠামো টেনে আনা হবে। গতবছরের মতোই করোনা সংক্রমণের সতর্কতা ও বিধি মেনেই হবে নিরঞ্জন হবে।

গঙ্গার জল যাতে দূষিত না হয়, সে জন্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের গাইডলাইন মেনে ফুলমালা এবং অন্যান্য সামগ্রী গঙ্গাপাড়ে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলতে হবে। কলকাতা পুরসভার পর্যাপ্ত কর্মী, পুলিশএবং পরিকাঠামো রাখা হবে গঙ্গার ঘাটগুলিতে। শহরের ভেতরে যে জলাশয়গুলি রয়েছে, সেখানো যাতে নিরঞ্জন প্রক্রিয়া সুষ্ঠু ভাবে হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখা হবে বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement