করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আগে চেনা ছন্দে বইমেলা। ফাইল চিত্র
এক বছরের ব্যবধান কাটিয়ে ফিরছে বইমেলা। সোমবারই ঘোষণা করা হয়েছে, সমস্ত কোভিড বিধি মেনে ৩১ জানুয়ারি থেকে সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কে হবে ২০২২ সালের মেলার আয়োজন। এ বারের থিম দেশ ‘বাংলাদেশ’। ২০২১ সালে যে বইমেলা আয়োজিত হওয়ার কথা ছিল, সেটিরও থিম দেশ ছিল বাংলাদেশ। তবে গত বছর করোনার কারণে বইমেলা আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। তাই এ বছর বাংলাদেশই থাকছে কেন্দ্রে। সব মিলিয়ে ফের বই-উৎসবের জন্য মুখিয়ে আছেন দুই বাংলার প্রকাশক, পাঠকরা।
পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘‘আমরা আগামী ১২ তারিখ একটি সাংবাদিক বৈঠক করব। সেখানে বিস্তারিত বলা হবে। সমস্ত নিয়ম মেনেই বইমেলা আয়োজিত হবে সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে। আমি জানি, সাধারণ প্রকাশক ও পাঠকদের মধ্যে অনেক রকম প্রশ্ন আছে। সেগুলি পরিষ্কার করে দেওয়া হবে।’’ করোনা সংক্রমণের মধ্যে নানা রকম বিধিনিষেধ হয়তো থাকবে বইমেলা আয়োজনের ক্ষেত্রে, এমনই মনে করছেন পাঠক থেকে প্রকাশকরা। তবে সেই নিয়ম এখনও স্পষ্ট করে বিধিবদ্ধ করা হয়নি। গিল্ডের জনসংযোগের দায়িত্বপ্রাপ্ত শুভঙ্কর দে বলেছেন, ‘‘কোভিড বিধি মেনেই আয়োজন করা হবে। নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম করা হবে। সেগুলি মেনেই মেলা পরিচালনা করা হবে।’’
শুভঙ্কর বলেছেন, ‘‘গত বছরই বইমেলা হয়নি। গত বছরে থিম দেশ হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ। বইমেলা না হওয়ায় তাঁরা আসতে পারেননি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর বছর, শেখ মুজিবুর রহমানের শতবর্ষ, এমনই অনেক কারণে এই বছর বাংলাদেশের কাছে ঐতিহাসিক। সেই কারণেই তাঁদেরকে থিম দেশ হিসাবে রাখা হয়েছে।’’ বাংলাদেশ থিম দেশ হওয়ায় সমান ভাবে উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশের পাঠক-প্রকাশকরাও। বাংলাদেশের ‘বাতিঘর’ পুস্তক বিপণির স্বত্বাধিকারী দীপঙ্কর দাশ বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশের প্রকাশনা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের পাঠকদের মধ্যে এক চিরন্তন আগ্রহ রয়েছে। আমরা উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশ থিম দেশ হিসাবে উঠে আসায়। গত বছরও বাংলাদেশের প্রকাশনার পশ্চিমবঙ্গে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে তা হয়নি। আশা করি এ বছর সুস্থ ও সুন্দর ভাবে বইমেলা হবে। মানুষের কাছে পৌঁছতে পারবেন বাংলাদেশের প্রকাশকরা।’’