ছবি সংগৃহীত।
কলকাতার পুর-ফলে ধরাছোঁয়ার বাইরে তৃণমূল। লড়াই কেবল দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীদের জন্য। পুরভোটের বিধানসভাভিত্তিক ফলের নিরিখে বিজেপি দ্বিতীয় স্থান ধরে রাখতে পেরেছে ৬টি আসনে। যদিও একুশের নীলবাড়ির লড়াইয়ে বিজেপি দ্বিতীয় স্থানে ছিল কলকাতা পুর এলাকার ১৭টির মধ্যে ১৬টি আসনেই। পুর-ফল বলছে, কলকাতা পুর এলাকার অন্তর্গত ৩টি বিধানসভা আসনে বিজেপি রয়েছে চতুর্থ স্থানে।
বেলেঘাটা বিধানসভা কেন্দ্রটি পুরোপুরি কলকাতা পুর এলাকার অন্তর্গত ২৮ থেকে ৩০, ৩৩ থেকে ৩৬ এবং ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে। পুরভোটের ফলে দেখা যাচ্ছে এই বিধানসভায় তৃণমূল প্রথম স্থানে, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কংগ্রেস, তৃতীয় স্থানে বামেরা এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে বিজেপি।
একুশের নীলবাড়ির লড়াইয়ে অবশ্য তৃণমূলের পর দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেছিল বিজেপি। যদিও ব্যবধান ছিল বিস্তর। পুর-ফলে দেখা যাচ্ছে ব্যবধান মোটামুটি ভাবে এক থাকলেও বদলে গিয়েছে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীরা। বেলেঘাটায় চতুর্থ হয়েছে পদ্ম।
পুর-ফল অনুযায়ী, বালিগঞ্জ বিধানসভাতেও একই চিত্র। সেখানেও চতুর্থ স্থানে রয়েছে বিজেপি। বিধানসভাভিত্তিক এলাকা বিন্যাস বলছে কলকাতা পুরসভার ৬০, ৬১, ৬৪, ৬৫, ৬৮, ৬৯ এবং ৮৫ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে বালিগঞ্জ বিধানসভা। ঘটনাচক্রে এই বিধানসভার অন্তর্গত পার্ক সার্কাস, বেকবাগান, পাম অ্যাভিনিউ, ব্রড স্ট্রিট এলাকায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাস তুলনায় বেশি। পুর-ফল বলছে, বালিগঞ্জে তৃণমূলের পর দ্বিতীয় হিসেবে বিজেপি-কে সরিয়ে উঠে এসেছে কংগ্রেস। তৃতীয় বামেরা, চতুর্থ স্থানে বিজেপি। যদিও নীলবাড়ির লড়াইয়ে এই কেন্দ্রে তৃণমূলের পর দ্বিতীয় হয়েছিল বিজেপি। ৮ মাসের মধ্যে বদলে গেল সমীকরণ।
মেটিয়াবুরুজ কেন্দ্রে রয়েছে দু’টি পুরসভা এলাকা। কলকাতা পুরসভার ১৩৬ থেকে ১৪১ নম্বর ওয়ার্ড এবং মহেশতলা পুরসভার ১ থেকে ৭, ৯ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ড। এর মধ্যে কলকাতা পুর এলাকার ৫টি ওয়ার্ডেই সংখ্যালঘু জনসংখ্যা বেশি। পুর-ফল অনুযায়ী, মেটিয়াবুরুজে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে প্রথম তৃণমূল। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কংগ্রেস, তৃতীয় বামেরা। এখানেও চতুর্থ স্থানে শেষ করেছে বিজেপি। অথচ মার্চ-এপ্রিল মাসে হওয়া বিধানসভা ভোটে এই কেন্দ্রে দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিজেপি-ই।
এই হিসাব থেকে একটা জিনিস পরিষ্কার, বিধানসভা নির্বাচনের ৮ মাসের মধ্যে হওয়া কলকাতা পুরভোটে আরও কমেছে বিজেপি-র প্রতি জনসমর্থন। তার প্রতিফলনেই শহরের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় তৃণমূলের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিজেপি-কে সরিয়ে কংগ্রেসের উঠে আসা।