Firhad Hakim

টাকা দিয়ে শিক্ষকদের চাকরি! এই পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ কী? শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে প্রশ্নের মুখে ববি, কী জবাব দিলেন?

মঙ্গলবার নিজের পাড়ায় ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের একটি স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিক শুরুর দিন পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানাতে যান রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র। তখনই প্রশ্নের মুখে পড়েন ফিরহাদ হাকিম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৩ ১১:২৯
Share:

প্রশ্নের মুখে ফিরহাদ। ছবি: সংগৃহীত।

মঙ্গলবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিনে ছাত্র-ছাত্রীদের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়লেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। মঙ্গলবার চেতলায় নিজের পাড়ায় ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের একটি স্কুলে পরীক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে যান রাজ্যের দাপুটে মন্ত্রী। সেই সময়েই তাঁকে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ এবং তজ্জনিত কারণে পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়।

Advertisement

মন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়, রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এমনকি, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী পদেও টাকা দিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগে জড়িয়ে পড়ছেন শাসকদলের একাধিক নেতা এবং জনপ্রতিনিধি। আদালতের নির্দেশে দুর্নীতি করে চাকরি পাওয়ায় সংশ্লিষ্টদের চাকরি চলে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় এই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ কী?

জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি জানি না ঠিক কী হয়েছে! সত্যি সত্যিই যদি টাকা নিয়ে চাকরি হয়, তা হলে এটা আমাদের কাছে লজ্জার।’’ তার পরেই প্রশ্ন ওঠে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তৃণমূল যুব নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে। মন্ত্রী তথা মেয়র বলেন, ‘‘যত ক্ষণ না অভিযোগ প্রমাণিত হচ্ছে, তত ক্ষণ এ বিষয়ে কিছু বলা উচিত নয়। সংবাদমাধ্যমের তদন্ত এক জিনিস। আর আদালতে চার্জশিট দিয়ে দোষ প্রমাণিত হওয়া অন্য বিষয়। যত দিন না দোষ প্রমাণিত হচ্ছে, তত দিন বিষয়টি ‘বিচারাধীন’ বলাই ভাল।’’

Advertisement

পরীক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান রাজ্যের দাপুটে মন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র।

দোষ প্রমাণ হওয়ার কথা বলেও অবশ্য মন্ত্রিসভার প্রাক্তন সহকর্মী তথা রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গে আক্ষেপ ধরা পড়ে ফিরহাদের কণ্ঠে। পার্থ গ্রেফতার হওয়ার পরে বিস্মিত ফিরহাদ বলেছিলেন, ‘‘এই পার্থ’দাকে আমি চিনতাম না!’’ মঙ্গলবার তিনি আবার বলেন, ‘‘সত্যি সত্যিই এই পার্থ’দাকে আমি চিনি না। এই পার্থ’দা আমার কাছে নতুন। বহু বছর আমি আর পার্থ’দা একসঙ্গে রাজনীতি করেছি। এটা কোনও দিন স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি যে, কেউ টাকা নিয়ে চাকরি দিতে পারে!’’

সম্প্রতি জেলবন্দি পার্থ আদালতে হাজিরা দিতে এসে প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছিলেন, তিনি দলের সঙ্গেই আছেন। যদিও গত বছর ২৩ জুলাই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর ২৯ জুলাই তৃণমূল ভবনে দলের শীর্ষনেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে পার্থকে দল থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তা সত্ত্বেও পার্থ বরাবরই দলের সঙ্গে থাকার দাবি করেছেন। যে দাবি প্রসঙ্গে ফিরহাদকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘দলে কে থাকবেন আর কে থাকবেন না, তা ঠিক করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বিষয়ে দলে আর কোনও পৃথক আলোচনা হয়নি। কাউকে বিশ্বাস করাটা ভুল নয়। কাউকে বিশ্বাস করাটা অন্যায় নয়। তিনি (মমতা) বিশ্বাস করেছিলেন। ঠকেছেন। আমাদের এত বড় সংগঠন বিশ্বাসের ওপরেই চলে। আমরা সবাই আজীবন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলাম। তিনি নিজে কোনও অন্যায় করতে পারেন না এবং কোনও অন্যায়কে প্রশ্রয়ও দেন না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement