হুমকি এবং অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়ছিল কৌস্তুভ বাগচীকে। ফাইল চিত্র।
পুলিশি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী। গত ৩ মার্চ গভীর রাতে তাঁর বাড়িতে যে ভাবে কলকাতার বড়তলা থানার পুলিশ হানা দিয়েছিল, সেই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার সর্বোচ্চ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন কৌস্তুভ। মামলা দায়েরের অনুমতি মিলেছে। বুধবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে শুনানির সম্ভাবনা।
গত ৩ মার্চ, শুক্রবার রাতে কৌস্তুভের ব্যারাকপুরের বাড়িতে হানা দিয়েছিল পুলিশ। হুমকি এবং অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে ৪ মার্চ, শনিবার সকালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ‘বিনা কারণে’ কলকাতার বড়তলা থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে বলে দাবি করেন কৌস্তুভ। কংগ্রেস নেতার গ্রেফতারি ঘিরে সরগরম হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। শনিবারই বিকেলে জামিনে মুক্তি পান কৌস্তুভ। জামিন পাওয়ার পরই আদালত চত্বরে নাপিত ডেকে মাখা মুড়িয়ে ফেলেন তিনি। মস্তক মুণ্ডনের পর কৌস্তুভ বলেছিলেন, ‘‘যত দিন না মমতার সরকারকে উৎখাত করছি, তত দিন মাথার চুল রাখব না।’’ সেই পর্বের পর এ বার পুলিশের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে গেলেন কংগ্রেস নেতা।
মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি উপনির্বাচনে কংগ্রেসের জয়ের পরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন অধীরের কন্যার আত্মহত্যা এবং তাঁর গাড়িচালকের মৃত্যু নিয়ে তিনি ‘অনেক কথা’ জানেন। তিনি ‘মুখ খুললে’ বিপদ হবে! এর পরই পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করেন কৌস্তুভ। সেখানে তিনি তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন আমলা দীপক ঘোষের একটি বইয়ের প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে ‘ব্যক্তি আক্রমণ’ করেন বলে অভিযোগ। কংগ্রেসের মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় জানিয়েছিলেন, সেই কারণেই কলকাতা পুলিশ কৌস্তুভকে গ্রেফতার করেছে। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, হুমকি এবং অশান্তি ছড়ানোর দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছিল কৌস্তুভকে।