ফিরহাদ-করিম কথা। ফাইল চিত্র।
বিদ্রোহী বিধায়ককে ‘ঠান্ডা’ করতে আসরে নামলেন ফিরহাদ হাকিম। শনিবার সকালেই তিনি ফোন করেন ইসলামপুরের এই প্রবীণ বিধায়ককে। বেশ কিছু ক্ষণ কথাও হয় দুই সতীর্থের মধ্যে।
শুক্রবার কালীঘাটের বাসভবনে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে যোগ দেননি করিম চৌধুরী। বৈঠকে যে তিনি অনুপস্থিত থাকবেন না, তা আগেই জানিয়েছিলেন করিম। ক্ষোভের সুরে তিনি বলেছিলেন, ‘‘কী করতে কালীঘাটে যাব? আমি তো বিদ্রোহী বিধায়ক।’’
নিজের অবস্থানে অনড় থেকে করিম কালীঘাটের বৈঠকে যোগ দেননি। বৈঠকে যোগ না দিয়ে করিম বলেছিলেন, ‘‘নেত্রী আজকের বিভিন্ন দলীয় নেতৃত্বকে বৈঠকে ডেকেছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সেখানে আলোচনা হবে বলে শুনেছি। আমি কোনও চিঠি বা হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ পাইনি। আমাকে এক জন ফোন করেছিল। আমার ছেলে ফোন ধরেছিল। ছেলে জানিয়ে দিয়েছে আমি যাব না।’’ পর দিনই, অর্থাৎ ফিরহাদ তাঁকে ফোন করে কথা বলে ক্ষোভের কারণ জানতে চান।
সূত্রের খবর, কোন কোন বিষয়ে দলের সঙ্গে মতপার্থক্য রয়েছে, তা-ও ফিরহাদকে বিস্তারিত জানিয়েছেন করিম। এ প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে করিমদার সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। আমাদের সম্পর্ক এখন পারিবারিক। কী কথা হয়েছে, তা বলব না। তবে কোনও সমস্যা নেই।’’
উল্লেখ্য, গত বছর বিধানসভায় পরিষদীয় দলের বৈঠকে রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীকে প্রবল অস্বস্তির মধ্যে ফেলে দিয়েছিলেন ইসলামপুরের প্রবীণ বিধায়ক করিম। প্রশ্ন তুলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় অনুপস্থিতির কারণ নিয়ে। সম্প্রতি আবার উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর থানার মাটিকুন্ডা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ মাটিকুন্ডা এলাকায় বোমার আঘাতে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যু হয়। সেই মৃত্যু নিয়েও দলের একাংশের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ঘোষণা করে নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোট লড়ার হুমকি দেন। কিন্তু শনিবার তাঁর সঙ্গে কথা বলার পর আশ্বস্তই দেখিয়েছে ফিরহাদকে।