ইন্দ্রনীল সেন।
রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন এক সময় প্রচুর গান গেয়েছেন। পুরনো, নতুন আধুনিক বাংলা গান, ছবির গান তাঁর গলায় আলাদা মাত্রা পেয়েছে। কখনও যদি তাঁকে গান অথবা রাজনীতি যে কোনও একটি বেছে নিতে বলা হয়, কাকে বাছবেন? আনন্দবাজার অনলাইনের ইউটিউব এবং ফেসবুক লাইভে এমনই প্রশ্নের মুখোমুখি চন্দননগরের বিধায়ক। কী জবাব তিনি শুনিয়েছেন দর্শক-শ্রোতাদের?
ইন্দ্রনীলের যুক্তি, তিনি দেখবেন সেই মুহূর্তে কোন দিকে তাঁর পাল্লা ভারী। রাজনীতিতে তাঁর প্রয়োজন থাকলে তিনি সে দিকটাই আগে সামলাবেন। গানের দুনিয়া তাঁর জন্য থমকে গেলে তিনি সে দিন গানই গাইবেন। যাঁর জীবনের সিংহ ভাগ জুড়ে গান তিনি রাজনীতির মারপ্যাঁচ ভুলে কখনও কান পেতে গান শোনেন? আধুনিক বাংলা গানের যুগ বেশ কিছু বছর প্রায় অস্তমিত। তুলনায় শ্রোতারা ছবির গান শোনেন। সেই জায়গা থেকে তাঁর শোনা শেষ ভাল বাংলা ছায়াছবির গান কী? ইন্দ্রনীল বেছে নিয়েছেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত ‘খাদ’ ছবির জনপ্রিয় গান ‘আলোয় আলো আকাশ’কে। ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তের সুরে গানটি গেয়েছিলেন অরিজিৎ সিংহ। দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ‘ওই মহাসিন্ধুর ওপার থেকে’র আধারে তৈরি ওই গান আজও ইন্দ্রনীলকে নাড়া দেয়। বন্ধু ইন্দ্রদীপকে সম্বোধন করে ইন্দ্রনীল বলেন, ‘‘অনেক বার ইন্দ্রদীপকে বলেছি, তুই যদি আবার এই ধরনের গান বানাস আমায় দিয়ে গাওয়াস। সব কাজ ফেলে আমি গাইতে যাব।’’
ইন্দ্রনীল এ-ও জানান, গানের ব্যাপারে এখন তিনি আরও খুঁতখুঁতে। কেবল এই ধরনের অন্য ধারার ভাল গান পেলে তিনি প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ছুটি চেয়ে নেবেন। মন্ত্রীর কথায়, তিনি অনুরোধ মমতাকে বলবেন, ‘‘দিদি, আমায় দু’ঘণ্টার ছুটি দাও। আমি কাজের কোনও ক্ষতি না করে গান গাইতে যাব।’’ ইন্দ্রনীলের আশা, মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে নিরাশ করবেন না। হাসিমুখে অনুমতি দেবেন।
কারণ?
ইন্দ্রনীলের মতে, মুখ্যমন্ত্রী গানের উঁচু দরের সমঝদার। সব ধরনের সমস্ত গান, গানের কথা, সুর তাঁর ঠোঁটস্থ।