Lottery

লটারি পেয়েছিলেন বাবা, অপহৃত শিশু খুন

শনিবার বেলা ১১টা নাগাদ নিখোঁজ হয়ে যায় রেহান। পরিবারের দাবি, কিছু ক্ষণ পরে ফোন আসে, ২ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ধুলিয়ান শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০২০ ০৫:০০
Share:

প্রতীকী ছবি।

লটারিতে পাওয়া টাকার ভাগ না পেয়ে এক বালককে খুনের অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জে। রেহান মহালদার (৭) নামে ওই বালকের বাবা সুরজ একটি বিড়ি কারখানায় কাজ করেন। বছর দেড়েক আগে লটারিতে কয়েক লাখ টাকা পেয়েছিলেন। টিকিটটির দামের অর্ধেক দিয়েছিলেন সুরজের এক বন্ধু। লটারি পাওয়ার পরে কে কত ভাগ পাবেন, তা নিয়ে গোলমাল চলছিল। তার জেরেই রেহানকে খুন করা হয়েছে বলে পরিবারের দাবি। পুলিশেরও প্রাথমিক ভাবে তেমনই ধারণা। তবে জঙ্গিপুরের পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, “সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

Advertisement

শনিবার বেলা ১১টা নাগাদ নিখোঁজ হয়ে যায় রেহান। পরিবারের দাবি, কিছু ক্ষণ পরে ফোন আসে, ২ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। সুরজেরা বলেন, ছেলেকে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। খেপে খেপে টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে। তাই নিয়ে বিবাদ চলছিল। অপহরণকারীদের কথা মতো দু’এক জায়গায় গিয়েও কাউকে না পেয়ে রেহানের পরিবার পুলিশে খবর দেয়। তার পরেই বিকেল পাঁচটা নাগাদ বাড়ি থেকে সামান্য দূরে বাগানের মধ্যে রেহানের দেহ মেলে। দেহে মারধরের চিহ্ন রয়েছে। রেহানের কাকা মহম্মদ রিটন জানান, বছর দেড়েক আগে সুরজ ও তাঁর এক বন্ধু ৩০ টাকা করে দিয়ে ৬০ টাকার একটি লটারি কেটে ২৬ লক্ষ টাকা পান।

কিন্তু স্থানীয় সূত্রে দাবি, লটারির টাকা পেতে অসুবিধে হবে ভেবে টিকিটটি তাঁরা ১৮ লাখে অন্য এক জনকে বিক্রি করে দেন। সেই টাকার অর্ধেক দাবি করেন সুরজ। কিন্তু তাঁর বন্ধু জানান, তিনি যে ৩০ টাকা দিয়েছিলেন, তার ১৫ টাকা নিয়েছিলেন আরও এক জনের কাছ থেকে। সেই ব্যক্তিও ভাগ চান। এ নিয়ে মীমাংসা করেন সুরজেরই দাদা। সুরজ পান ৮ লক্ষ, বাকি দু’জন পান মোট ৮ লক্ষ। সালিশি বাবদ দু’লক্ষ নেন সুরজের দাদা। বিবাদ অবশ্য মেটেনি। পুলিশের বক্তব্য, দেড় বছর পরে কেন তার জেরে শিশুকে খুন করা হবে, ভেবে দেখার বিষয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement