শুভেন্দু অধিকারী (বাঁ দিকে), গণেশচন্দ্র মণ্ডল (ডান দিকে)। ফাইল ছবি।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির তৃণমূল বিধায়ক গণেশচন্দ্র মণ্ডল। বৃহস্পতিবার দুপুরে গণেশের বিরুদ্ধে দুর্নীতির নথি তুলে ধরার দাবি করেন শুভেন্দু। বিপুল সম্পত্তির অভিযোগ তোলেন। সন্ধ্যায় গণেশ জানালেন, তিনি যে কোনও তদন্তে রাজি। প্রকাশ্যে এমন অভিযোগ করার জন্য দলের সঙ্গে আলোচনা করে তিনি শুভেন্দুর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানান।
শুভেন্দু দাবি করেছিলেন, কুলতলির তৃণমূল বিধায়কের মোট দলিলের সংখ্যা ৩৯। ২০১৯ থেকে ২১-এর মধ্যে নিজের নামে ১৩টি, স্ত্রীর নামে ১৬টি, দুই মেয়ের নামে ৮টি এবং বাবা-মায়ের নামে দু’টি সম্পত্তি কিনেছেন গণেশ। যার সামগ্রিক মূল্য কয়েক কোটি টাকা বলেও দাবি করেছিলেন বিরোধী দলনেতা। একশো দিনের কাজে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি কুলতলিতেই হয়েছে বলেও দাবি ছিল শুভেন্দুর। সমস্ত তথ্যই তিনি ইডির হাতে তুলে দেবেন বলেও জানিয়েছেন শুভেন্দু।
এই প্রেক্ষিতেই এ বার মুখ খুললেন গণেশ। বৃহস্পতিবারই সন্ধ্যায় গণেশ বলেন, ‘‘উনি ইডি, সিবিআই যেখানে খুশি দিন, আমার কোনও অসুবিধা নেই। আমি সমস্ত রকম তদন্তের জন্য তৈরি আছি। আমার যা সম্পত্তি তা সম্পূর্ণ আইন মেনেই আছে। আয়কর রিটার্নে তা দেখানোও আছে। শুভেন্দুবাবু প্রমাণ দিন, আমি সরকারি টাকা মেরেছি। দলের সঙ্গে আলোচনা করে কোর্টে যাব।’’
তবে শুধু কুলতলির বিধায়কই নয়, শুভেন্দু দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জহাঙ্গির খান, ডায়মন্ড হারবার ১ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধক্ষ তথা ওই ব্লকের যুব তৃণমূল সভাপতি গৌতম অধিকারী, ডায়মন্ড হারবার ২ নম্বর ব্লকের একটি অঞ্চলের সভাপতি শামিম মাহাবেদ মোল্লার নাম করে দুর্নীতির অভিযোগ করেন। শুভেন্দুর দাবি, এই চার জনই শুধু নয়, আরও একশো জন তৃণমূল নেতার দুর্নীতি ফাঁস করবেন তিনি। এই প্রেক্ষিতেই কুলতলির বিধায়ক গণেশ মণ্ডলের শুভেন্দুর বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি।