বোলপুরে তৃণমূলের কালীপুজোর মূল উদ্যোক্তা অনুব্রত মণ্ডলই। — নিজস্ব চিত্র।
গরু পাচার মামলায় আপাতত সংশোধনাগারে রয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তার ফলে বোলপুরে তৃণমূল দলীয় দফতরে প্রতি বার যে কালীপুজো হয়, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল ধোঁয়াশার। কিন্তু এ বারও পুজো জাঁকজমক করে হবে বলেই জানালেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়। পুজো করতে নিজেদের মধ্যে চাঁদা তোলা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বীরভূমের বিজেপি নেতৃত্ব।
মলয় বলেন, ‘‘বোলপুরের পার্টি অফিসে প্রতি বার যে কালীপুজো হয়, তা এ বারও জাঁকজমক করেই হবে। জেলা কমিটির মোট ১৫০ সদস্য আছে। প্রত্যেকে এক হাজার টাকা চাঁদা দেবেন।’’ সেই দেড় লক্ষ টাকা পুজো এবং পুজোর ভোগের আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘এ বারও পুজো নিষ্ঠাভরে হবে। কোনও ত্রুটি থাকবে না।’’
বরাবরই নিজের কালীভক্তির কথা সংবাদমাধ্যমে তুলে ধরেছেন কেষ্ট। তারাপীঠ-সহ আশপাশের এলাকায় বহু বার পুজো দিতে এবং বিপুল সমারোহে যাগযজ্ঞও করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। বোলপুরে তৃণমূলের পার্টি অফিসে যে কালীপুজো হয়ে আসছে, তারও মূল স্তম্ভ অনুব্রত ই। কিন্তু গরু পাচার মামলায় সেই অনুব্রত এখন দিন কাটাচ্ছেন জেলে। তা নিয়ে মলয় বলেন, ‘‘প্রত্যেকবার অনুব্রত মণ্ডল থাকলে নজর রাখেন। কে এলেন, কে এলেন না, কে খেলেন, কে খেলেন না তা জানতে চান। তাঁর অভাব সকলে অনুভব করবে। সে দিক থেকে আমরা কিছুটা দুর্বল হয়েছি।’’ কালীপুজোয় প্রতিমার থেকে কী আশীর্বাদ চাইবেন? মলয়ের উত্তর, ‘‘কেষ্টদার জন্য আমরা মায়ের আশীর্বাদ চাইবই। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় সরকার তার এজেন্সিগুলিকে দিয়ে তৃণমূলের নেতাদের কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এই পর্ব ঘুচে গিয়ে যাতে নতুন সকাল আসে সেই আশীর্বাদও চাইব আমরা।’’
জেলা কমিটির সদস্যদের থেকে চাঁদা তুলে কালীপুজো করার প্রক্রিয়াকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। দুবরাজপুরের বিজেপির বিধায়ক অনুপ সাহার কথায়, ‘‘জেলে থাকা সত্ত্বেও অনুব্রত মণ্ডলের অঙ্গুলিহেলনেই বীরভূমের তৃণমূল চলছে। চাঁদা তুলে পুজো করার মাধ্যমে তারা এখন ভাল সাজার চেষ্টা করছে। কিন্তু ওরা আজও দুর্নীতিগ্রস্ত। ওদের এই প্রচেষ্টা হাস্যকর।’’