Viral Video

‘ড্রিঙ্ক করে উঠেছিলাম, ওদের মারতে ব্লেড বার করেছিলাম’, বলছেন ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া সজল

প্রথমেই সজল স্বীকার করে নিয়েছেন যে, তিনি মত্ত অবস্থায় ট্রেনে ওঠেন। যা বেআইনি। তবে তাঁর দাবি, সহযাত্রীদের ‘খারাপ কাজে’ বাধা দেওয়ায় তাঁকে ট্রেন থেকে ফেলা দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২২ ১০:৩৬
Share:

ট্রেন থেকে সহযাত্রীর ধাক্কায় পড়ে যাওয়া সজল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। —নিজস্ব চিত্র।

ট্রেনে দুই যাত্রীর বচসা, সেখান থেকে এক জন অপর জনকে ঠেলে ফেলে দিলেন চলন্ত ট্রেন থেকে। শনিবার রাতে হাওড়া-মালদহ ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের একটি ভিডিয়ো দেখে চমকে উঠেছেন সবাই। শেষমেশ রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ট্রেন থেকে পড়ে যাওয়া ওই যাত্রীকে। রেল সূত্রে তাঁর পরিচয় জানা যায়। নাম সজল শেখ। বাড়ি বীরভূমেরই সুঁদিপুরে। হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে সেই সজল জানালেন, কী ঘটেছিল তাঁর সঙ্গে।

Advertisement

প্রথমেই সজল স্বীকার করে নিয়েছেন যে, তিনি মত্ত অবস্থায় ট্রেনে ওঠেন। যা বেআইনি। তবে তাঁর দাবি, সহযাত্রীদের ‘খারাপ কাজে’ বাধা দেওয়ায় তাঁকে ট্রেন থেকে ফেলা দেওয়া হয়েছে।

আহত সজলের কথায়, ‘‘কাল (শনিবার) আমি সাঁইথিয়া থেকে আসছিলাম। মল্লারপুরে নেমে হালকা ড্রিঙ্ক (মদ্যপান) করেছিলাম। ড্রিঙ্ক করে ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস ধরে বাড়ি আসছিলাম। ট্রেনের তিন-চার জন যাত্রী নিজেদের মধ্যে গালাগালি করছিল। পাশে কয়েকটি পরিবারের লোকজন বসে ছিলেন। আমি বারণ করেছিলাম ওদের (গালাগালি দিতে)। সেটাই দোষের হয়ে গেল। আমার কলার ধরেছিল। আমি পকেট থেকে ব্লেড বার করেছিলাম ওদের মারার জন্য। তার পর যে কখন আমায় গাড়ি (পড়ুন ট্রেন) থেকে ফেলে দিয়েছে, সেটা আমার মনে নেই।’’

Advertisement

একটু থেমে সজল বলেন, ‘‘যখন হুঁশ এল, দেখছি রেললাইনে পড়ে আছি। মাথা থেকে পা যন্ত্রণা করছে। তার পর কিছু মনে নেই।’’ তারাপীঠ থেকে রামরপুরহাটের মাঝামাঝি এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে দাবি সজলের। বলেন,‘‘যারা মেরেছিল, দেখলে চিনতে পারব।’’

উল্লেখ্য, শনিবার রাতে হাওড়া-মালদহ ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের সজলকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আনে। ওই ট্রেনেরই অন্য এক সহযাত্রীর তোলা সেই ভিডিয়ো দেখেই অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছে রেল পুলিশ। পুলিশেরও দাবি, তারাপীঠ রোড ও রামপুরহাট স্টেশনের মাঝামাঝি একটা জায়গায় ঘটনাটি ঘটেছে। সজলকে রক্তাক্ত অবস্থায় তারাপীঠ রোড ও রামপুরহাট স্টেশনের মাঝে রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার করা হয়। এখন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে তিনি চিকিৎসাধীন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement