জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। — ফাইল চিত্র।
বাঁ হাতটা এখনও সামান্য দুর্বল। তা ছাড়া এমনিতে রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ‘স্থিতিশীল’। রবিবার মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করে জানাল কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতাল। তারা জানিয়েছে, ডায়াবেটিক রোগীরা যে খাবার খেয়ে থাকেন, তা-ই খাচ্ছেন জ্যোতিপ্রিয়।
হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, ২৭ অক্টোবর শুক্রবার সেখানে ভর্তি করানো হয়েছে জ্যোতিপ্রিয়কে। রবিবার তাঁর হল্টার মনিটরিং করানো শেষ হয়েছে। এটি হৃদ্যন্ত্রের একটি দীর্ঘ পরীক্ষা। এর মাধ্যমে হৃদ্স্পন্দনের মাত্রা বোঝা যায়। রবিবার আবার তাঁর মস্তিষ্ক এবং সার্ভাইক্যাল স্পাইনের এমআরআই করানো হয়েছে। জ্যোতিপ্রিয়কে পরীক্ষা করে দেখেছেন বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকেরা। দেখা গিয়েছে, তাঁর বাঁ হাত এখনও সামান্য দুর্বল।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বনমন্ত্রীর টিল্ট টেস্ট করা হতে পারে। চিকিৎসকদের সেই পরিকল্পনা রয়েছে। এটিও হৃদ্যন্ত্রের পরীক্ষা। হৃদ্রোগের সম্ভাবনা রয়েছে কি না, তা এর মাধ্যমে বোঝা যায়। জ্যোতিপ্রিয় ডায়াবেটিসে ভুগছেন দীর্ঘদিন। সে কারণে তাঁকে বুঝেশুনে খাবার দেওয়া হচ্ছে হাসপাতালে।
শুক্রবার থেকে হাসপাতালে ভর্তি জ্যোতিপ্রিয়। ইতিমধ্যে হাসপাতালে গিয়ে এক বার তাঁর খোঁজ নিয়ে এসেছে ইডি। রবিবার বিকেল নাগাদ আধিকারিকেরা ফের হাসপাতালে যান বলে খবর। সোমবার এ বিষয়ে আদালতে তাঁদের রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
রেশন বণ্টনে দুর্নীতির অভিযোগে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জ্যোতিপ্রিয়কে গ্রেফতার করেছে ইডি। তার আগে প্রায় ২০ ঘণ্টা ধরে তাঁর সল্টলেকের দু’টি ফ্ল্যাটে চলে ম্যারাথন তল্লাশি। রাতে মন্ত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয় সিজিও কমপ্লেক্সে। তার পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার আদালতে হাজির করানো হয় জ্যোতিপ্রিয়কে। সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে সেখান থেকে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন মন্ত্রী। তাঁকে ১০ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর থেকে ১০ দিন তাঁকে থাকতে হবে ইডির হেফাজতে। হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসার খরচ বহন করবে পরিবার।