অতীতে মানিক ভট্টাচার্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিতে গিয়ে মানিক ভট্টাচার্যের প্রসঙ্গ টানলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বিচারপতি জানান, ওই শিক্ষকদের নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন মানিক। তাই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার খরচ রাজ্য সরকার চাইলে মানিকের কাছ থেকে নিতে পারবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গত বছরের ১১ অক্টোবর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) গ্রেফতার করেছিল মানিককে। বর্তমানে পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক জেলবন্দি। তাঁর স্ত্রী-পুত্রকেও গ্রেফতার করা হয়। এই মামলায় অতীতে মানিকের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। দেশে, বিদেশে মানিকের যত সম্পত্তি আছে, তা বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, জরিমানার অর্থ না মেটানো পর্যন্ত তাঁকে সম্পত্তি ফেরত দেওয়া হবে না। মানিককে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মামলাকারী ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার্থী শাহিলা পরভীনের অভিযোগ ছিল, জরিমানার টাকা মানিক দেননি। এই অভিযোগের পরেই মানিকের যাবতীয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল উচ্চ আদালত।
নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় মানিককে আদালতে ডেকেও পাঠিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই মতো আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মানিককে। নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে মানিককে সেই সময় বেশ কিছু প্রশ্ন করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশের সময় আবার মানিকের প্রসঙ্গ টানলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
চাকরি বাতিল নিয়ে বিচারপতির রায়, এই শিক্ষকেরা সকলেই অপ্রশিক্ষিত। আগামী চার মাস তাঁরা স্কুলে যেতে পারবেন। বেতন পাবেন প্যারা টিচার হিসাবে। হাই কোর্টের নির্দেশ, রাজ্যকে এই তিন মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে শেষ করতে হবে। বিচারপতি আরও জানিয়েছেন, যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাঁরা ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকলে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁরাও অংশ নিতে পারবেন।