Justice Abhijit Gangopadhyay

৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল! নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

অপ্রশিক্ষিত শিক্ষকদের চাকরি বাতিল। তবে আগামী চার মাস তাঁরা স্কুলে যেতে পারবেন। বেতন পাবেন প্যারা টিচার হিসাবে। রাজ্যকে আগামী তিন মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ মে ২০২৩ ১৬:১০
Share:
image of Justice Abhijit Gangopadhyay

৩৬ হাজার জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। গ্রাফিক্স: সনৎ সিংহ।

৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এঁরা সকলেই অপ্রশিক্ষিত। বিচারপতির রায়, চাকরি বাতিল হলেও আগামী চার মাস তাঁরা স্কুলে যেতে পারবেন। বেতন পাবেন প্যারা টিচার হিসাবে। হাই কোর্টের রায়, রাজ্যকে আগামী তিন মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে শেষ করতে হবে। বিচারপতি আরও জানিয়েছেন, যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাঁরা ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকলে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁরাও অংশ নিতে পারবেন।

Advertisement

নিয়োগ না পেয়ে অপ্রশিক্ষিত প্রিয়াঙ্কা নস্কর-সহ ১৪০ জন হাই কোর্টে মামলা করেন। মামলাকারীরা সকলেই অপ্রশিক্ষিত। তাঁদের দাবি, সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে নম্বর বিভাজন-সহ তালিকা প্রকাশ হয়েছে। সেই তালিকায় দেখা যাচ্ছে তাঁদের থেকে কম নম্বর পেয়েও অনেক অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী চাকরির সুপারিশপত্র পেয়েছেন। তার পরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্যানেল বাতিল করে ‘ঢাকি সমেত বিসর্জন’-এর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন, ২০১৬ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার পুরো প্যানেল বাতিল করে দেবেন। তিনি মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘আমি ঢাকি সমেত বিসর্জন দিয়ে দেব।’’

মামলাকারীদের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারির বক্তব্য, মামলাকারীদের থেকে কম নম্বর প্রাপ্ত অনেককে চাকরি দেওয়া হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্যানেলে ৮২৪ জনের নাম ছিল। মামলাকারীরা ইন্টারভিউ না দিয়েই তাঁদের থেকে বেশি নম্বর পেয়েছিলেন। তার পর ১৩৯ জনের একটি তালিকা তৈরি করা হয়, চাকরি যাঁরা পেয়েছেন, তাঁদের থেকেও এই ১৩৯ জনের নম্বর বেশি ছিল।

Advertisement

তরুণজ্যোতির দাবি, ৩০ হাজারের বেশি এমন প্রার্থী নিয়োগ করা হয়েছে, যাঁদের নম্বর মামলাকারীদের থেকে কম। গত ডিসেম্বর মাসে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ১৩৯ জনের তালিকাটি খতিয়ে দেখার জন্য পর্ষদকে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য ছিল, ‘‘অভিযোগ প্রমাণিত হলে তো ৩০ হাজার চাকরি প্রশ্নের মুখে পড়বে। আর এই নিয়োগ বেআইনি ভাবে হলে চাকরি বাতিল করবে আদালত।’’

শুক্রবার সেই নির্দেশই দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করলেন। তবে আপাতত চার মাস তাঁরা স্কুলে যেতে পারবেন।

প্রাথমিকে ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল কি সমর্থন করেন?

ফলাফল দেখুন

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement