কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ (চিত্তরঞ্জন হাসপাতাল)। —ফাইল চিত্র।
সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের পর এ বার কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ (চিত্তরঞ্জন হাসপাতাল)। ফের রোগীর পরিজনদের দুর্ব্যবহারের শিকার হতে হল জুনিয়র ডাক্তারদের।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, রবিবার ভোরে হাতে গভীর ক্ষত নিয়ে জরুরি বিভাগে এক ব্যক্তিকে নিয়ে আসেন কয়েক জন। এসেই তাঁরা শুশ্রুষার দাবি করেন। জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসকেরা ওই রোগীর পরিজনদের জানান যে, রোগীর ক্ষত গভীর হওয়ায় এমার্জেন্সি ওটি-তে নিয়ে চিকৎসা করাতে হবে। চিকিৎসকদের অভিযোগ, এর পরেই ওই রোগীর পরিবারে লোকেরা উপস্থিত ডাক্তারদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করা শুরু করেন। তাঁরা দাবি করতে থাকেন জরুরি বিভাগেই চিকিৎসা করতে হবে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশকর্মীরা কয়েকজনকে আটক করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ চাওয়া হয়েছে। ডাক্তারদের তরফ থেকে এখনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। সিসিটিভি ফুটেজ হাতে পাওয়ার পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ।
আরজি কর-কাণ্ডের পর চিকিৎসকদের নিরাপত্তার দাবিতে এক মাসের বেশি সময় ধরে কর্মবিরতি পালন করেছিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। নিরাপত্তা সংক্রান্ত সকল দাবি রাজ্য মেনে নেওয়ার পর কাজে ফিরেছেন তাঁরা। কয়েক দিন আগেই সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রোগীর পরিবারের হাতে হেনস্থা হতে হয় হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের। নিরাপত্তার দাবিতে সাগর দত্ত হাসপাতালেও চলছে কর্মবিরতি। এরই মাঝে চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে চিকিৎসক নিগ্রহের এই ঘটনা।