বিধায়কদের গাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা। ফাইল চিত্র ।
তদন্তে নেমে জামতাড়ার ধৃত বিধায়ক ইরফান আনসারির বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হল পাঁচ লক্ষ টাকা। পাশাপাশি উদ্ধার করা হয়েছে একটি স্করপিও গাড়ি। সিআইডি সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
সিআইডি সূত্রের খবর, লালবাজার এলাকা থেকে ৭৫ লক্ষ টাকা আনতে এই স্করপিও গাড়ি ব্যবহার করা হয়েছিল বলেই মনে করছেন সিআইডি আধিকারিকেরা। ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ আগেই সংগ্রহ করেছিল সিআইডি। সেই ফুটেজেও এই স্করপিও গাড়িটি দেখা গিয়েছে বলেই সিআইডি সূত্রে খবর। লালবাজারে কলকাতা পুলিশের সদর দফতরের উল্টো দিকে ‘বিকানের’ নামে একটি বহুতলের চার তলায় এক শেয়ার কেনাবেচা সংস্থার দফতর থেকেই ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়কের কাছে বড় অঙ্কের টাকা গিয়েছিল বলে সিআইডির তদন্তকারী দলের সন্দেহ। তদন্তে নেমে ওই বহুতলের মালিক ব্যবসায়ী মহেন্দ্র অগ্রবালকে ইতিমধ্যেই আটক করে সিআইডি। পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
সোমবার বেলার দিকে ইরফানের বাড়িতে হানা দেন তদন্তকারীরা। ইরফানের পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পাশাপাশি তল্লাশিও চালানো হয় তাঁর বাড়িতে।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ জুলাই শনিবার রাতে হাওড়ার পাঁচলা-রানিহাটি মোড়ে গ্রেফতার করা হয় ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ককে। তাঁদের গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ৪৯ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। ইরফান ছাড়া ওই ঘটনায় গ্রেফতার হন ঝাড়খণ্ডের বিধায়ক রাজেশ কাছাপ এবং নমন বিক্সাল কোঙারি। তদন্তে নেমে শুরু থেকেই সিআইডি সূত্রের দাবি, গোটা ঘটনায় ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্র’ রয়েছে। ওই টাকা দিয়ে বিধায়ক ‘কিনে’ সরকার ফেলার চেষ্টা হচ্ছিল বলেও দাবি করা হয়েছে সিআইডি সূত্রের তরফে।