বরখাস্ত জয়প্রকাশ-রীতেশ। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ
দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বরখাস্ত রীতেশ-জয়প্রকাশ। গতকালই দল বিরোধী মন্তব্যের জন্য জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তিওয়ারিকে শো-কজ করেছিল রাজ্য বিজেপি। শো-কজের চিঠিতে লেখা হয়েছিল, দলবিরোধী মন্তব্যের জন্য কেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানাতে। তবে এখনই শো-কজের জবাব দিচ্ছেন না বলেই স্পষ্ট করেছিলেন জয়প্রকাশ ও রীতেশ। এই কারণেই তাঁদের বরখাস্ত করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
দলের ‘বিদ্রোহী’ নেতাদের নিয়ে রাজ্য বিজেপির অন্দরে ডামাডোল অব্যাহত। এর মধ্যেই জয়প্রকাশ ও রীতেশকে শো-কজের সিদ্ধান্ত নিল দল।
জয়প্রকাশ ও রীতেশের দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের প্রসঙ্গে সোমবার ব্যারাকপুরের সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির দাপুটে নেতা অর্জুন সিংহ মন্তব্য করেন, কারও যদি কোনও অভিযোগ থাকে তাহলে তা দলের অভ্যন্তরেই বলা উচিত। সোমবার একইরকম মন্তব্য করেন, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শোকজ-এর চিঠি প্রসঙ্গে তাঁর মত,‘‘পার্টি যে কোনও সময়েই যে কোনও কর্মীকে শো কজ করতে পারে। যদি পার্টি মনে করে। তাতে কোনও অসুবিধার কিছু নেই। বাকিটা দলের ব্যাপার। দল বুঝে নেবে।’’
তবে এই ‘বিদ্রোহ’-এর আবহে ঘর গোছাতে উদ্যোগী রাজ্য নেতৃত্ব। দলীয় সূত্রে খবর, দলের প্রতি অনাস্থা দেখানো নেতাদের ক্ষোভ ভাঙাতে পাঁচটি জোনের পদাধিকারীদের সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। তার মধ্যে মঙ্গলবার প্রথম বৈঠক হতে চলেছে নবদ্বীপ জোনের সঙ্গে। যার মধ্যে রয়েছে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলাও। এই সভায় উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে জেলা সভাপতি এবং পর্যবেক্ষকদের।
বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা মূলত মতুয়াদের গড় হিসেবেই পরিচিত। মতুয়াদের নিয়ে ইতিমধ্যেই বিজেপির অন্দরে বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে। এমনকি দলবিমুখ নেতাদের সঙ্গে পিকনিক করতেও দেখা গেছে মতুয়া নেতা তথা বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে।তবে এই বৈঠক কেবলমাত্র একটি সাংগঠনিক বৈঠক বলেও দাবি করেছেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের।