ফাইল ছবি
বিজেপি-তে বিদ্রোহের যে আগুন জ্বলতে শুরু করেছে, তা দ্রুত নিভিয়ে ফেলতে দলের দুই নেতাকে শো কজ করেছে গেরুয়া শিবির। লক্ষ্য, সেই আগুন যে অন্য সাংগঠনিক জেলাতেও ছড়িয়ে না পড়ে। এ বার সেই বিদ্রোহকে দলের মুখপত্রতে কটাক্ষ করল তৃণমূল।
নাম না করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে উদ্ধৃত করে সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ‘মন্ত্রী যখন প্রেসার পলিটিক্স করে দলের মুখ পোড়াচ্ছেন, তখন রাজ্য সভাপতি বলছেন, পিকনিককে ঘিরে দলের সর্ম্পক যাত্রা হচ্ছে, এমন খবর তাঁদের কাছে নেই। আশ্চর্যের কথা, রীতিমতো সংবাদমাধ্যমে বক্তব্য রেখে কর্মসূচি ঘোষণা করছেন, আর সভাপতি বলছেন আমি জানি না।’
প্রসঙ্গত মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বে বিজেপি-র বিদ্রোহী নেতাদের কলকাতায় একটি বৈঠক হয়, পরে বনগাঁয় চড়ুইভাতি করেন তাঁরা। আগামী কয়েক সপ্তাহে রাজ্যের একাধিক জেলায় এমন চড়ুইভাতি করার কথা জানান তিনি। উত্তর ২৪ পরগনার পরেই এমন চড়ুইভাতি হওয়ার কথা ছিল পুরুলিয়া জেলায়। সেখানে বিজেপি-র আর এক বিক্ষুব্ধ নেতা মনোজ মাহাতোর বাড়িতে বৈঠক করারও কথা ছিল জয়প্রকাশ, রীতেশদের। তার আগেই দলের তরফে শো কজ নোটিশ ধরানো হয় দু’জনকে।
তৃণমূল মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে সমালোচনার তির বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে লক্ষ্য করে। সেখানে আরও বলা হয়েছে, ‘ঘটনা যদি এখানেই শেষ হতো, তা হলেও বলা যেত সামলে নিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু শো কজ হাতে পাওয়ার পরই দলের ৩২ বছরের পুরানো কর্মী যে ভাবে কামান দেগেছেন তাতে বিজেপি কপালে কিন্তু দুঃখ রয়েছে।’