Prisoners

কমছে আয়, ‘মুক্ত’ বন্দিদের ছুটি বাড়ছে

নিয়মানুসারে, মুক্ত সংশোধনাগারে এলে তিন মাস ইস্তক সংশ্লিষ্ট আবাসিকের খাওয়া-দাওয়ার সঙ্গে মাইনের ব্যবস্থা করে থাকে কারা দফতর।

Advertisement

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৫:৩২
Share:

প্রতীকী ছবি।

একটি বড় সময় পাঁচিল ঘেরা জীবনে কাটানোর সঙ্গে ‘উন্নত’ আচার-আচরণ থাকতে হবে। তবে দরজা খুলতে পারে ‘মুক্ত’ সংশোধনাগারের। আর সেখানে আসার তিন মাস পর থেকে খাওয়াদাওয়া বা রোজগারের বন্দোবস্ত করতে হয় আবাসিককে। কিন্তু করোনা তাতে জল ঢেলে দিয়েছে। সেই পরিস্থিতি বিবেচনা করে মুক্ত সংশোধনাগারের আবাসিকদের প্যারোলের মেয়াদ বাড়াতে চলছে কারা দফতর। যা আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত হতে পারে বলে খবর।

Advertisement

নিয়মানুসারে, মুক্ত সংশোধনাগারে এলে তিন মাস ইস্তক সংশ্লিষ্ট আবাসিকের খাওয়া-দাওয়ার সঙ্গে মাইনের ব্যবস্থা করে থাকে কারা দফতর। ওই সময়ে কাজ খোঁজার সুযোগ দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু করোনার বর্তমান পরিস্থিতিতে কাজের সুযোগই পাচ্ছেন না আবাসিকরা। যেখানে কাজকর্ম করে পেট চালাতেন আবাসিকরা, সেই সব জায়গায় এখন আর কাজের সুযোগ পাচ্ছেন না তাঁরা। অন্য এলাকা থেকে আসা আবাসিকদের নিয়ে করোনা পর্বে ‘আপত্তি’ রয়েছে স্থানীয়দের। এই পরিস্থিতিতে মুক্ত সংশোধনাগারে আবাসিকরা ফিরলে তাঁদের পক্ষে দু’বেলা খাবার জোগাড় করা মুশকিল হবে। তাই সব দিক বিবেচনা করে মুক্ত সংশোধনাগারের আবাসিকদের প্যারোলের মেয়াদ ফের কারা দফতর বাড়াতে চলছে বলে খবর। লালগোলা, রায়গঞ্জ, দুর্গাপুর এবং মেদিনীপুর— রাজ্যের চারটি মুক্ত সংশোধনাগার প্রায় সাড়ে চারশোর মতো আবাসিকের ঠিকানা। আপাতত ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, তেমন জানাচ্ছে কারা দফতর সূত্র। দুর্গাপুরে ইতিমধ্যেই তা ঘোষণা করা হয়েছে।

মার্চে লকডাউন শুরু হতেই খাবার জোগাড়েই সমস্যা হয়েছিল মুক্ত সংশোধনাগারের আবাসিকদের। তাই প্যারোলে বাড়ি যাওয়ার আগে পর্যন্ত আবাসিকদের খাবারের বন্দোবস্ত করেছিল কারা দফতর। নিয়মানুসারে, সকাল ৬টা থেকে রাত সাড়ে ৭-৮টা পর্যন্ত সংশোধনাগারের গণ্ডির বাইরে থাকতে পারেন আবাসিকরা। নানা কাজের সঙ্গে যুক্ত থেকে আয়ের সংস্থান করেন তাঁরা।

Advertisement

তবে মুক্ত সংশোধনাগারে প্যারোলের মেয়াদ বাড়লেও অন্যত্র সেই সুযোগ থাকছে না। কারণ, আগামী পরশু, বুধবারই শেষ হওয়ার কথা বাকি সব বন্দির ‘ছুটি’র মেয়াদ। তার ফলে বৃহস্পতিবারই রাজ্যের বিভিন্ন সংশোধনাগারে বহু বন্দিরা ফিরবেন। দশ থেকে চোদ্দ দিন পৃথক করে রাখার ব্যবস্থা হচ্ছে সাময়িক ‘ছুটি’ শেষে ফিরে আসা বন্দিদের। সংখ্যা বেশি হওয়ায় বড় সংশোধনাগারগুলির অব্যবহৃত জায়গা পরিষ্কার করে সেখানে রাখা হচ্ছে তাঁদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement