মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জগদীপ ধনখড়। ফাইল চিত্র।
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে চমক দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের নাম নিজেদের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা। তাঁর এমন ঘোষণাকে বিজেপির রাজনৈতিক কৌশল হিসাবেই দেখছে রাজনৈতিক মহল। কিন্তু তৃণমূলের মতে, তাদেরউত্যক্ত করার ‘পুরস্কার’ই পেয়েছেন ধনখড়। দলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘‘তৃণমূলকে উত্যক্ত করার পুরস্কার হিসেবে ওঁকে উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করা হয়েছে।’’
২০১৯ সালের অগস্টে পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যপালের দায়িত্ব নিয়ে আসেন ধনখড়। রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠির মেয়াদ শেষ হলে তাঁকে রাজ্যপালের দায়িত্ব দিয়ে রাজভবনে পাঠায় কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যপাল পদে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একাধিক বার মতানৈক্য হয়েছে তাঁর। এমনকি তাঁর সরকারের সমালোচনায় বার বার সরব হয়েছেন ধনখড়।কখনও আবার নিজে থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পুজোয় যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। গিয়েওছেন। এমন অম্ল-মধুর সম্পর্ক তৃণমূল-ধনখড়ের।
শুধু মুখ্যমন্ত্রী বার তাঁর দলের সঙ্গেই নয়, বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। কখনও মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণকে কেন্দ্র করে, কখনও আবার বিধানসভার বিলে অনুমোদন না দেওয়ায় সরাসরি সঙ্ঘাত হয়েছে স্পিকারের সঙ্গে। সেই রাজ্যপালই উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জিতলে রাজভবন থেকে বিদায় নেবেন।
এ প্রসঙ্গে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা উপমুখ্যসচেতক তাপস রায় বলেন, ‘‘রাজ্যপাল হয়ে আসার পর থেকেই নানা বিষয়ে রাজ্য সরকারের বিরোধিতা করেছেন উনি। এমন অনেক বিষয়েই আমাদের দল ও সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, যা রাজ্যপাল পদে থেকে বলা যায় না। আশা করব বর্তমান রাজ্যপালের বদলে যিনিই বাংলার দায়িত্বে আসবেন, তিনি আমাদের সরকারকে সহযোগিতা করে চলবেন।’’
আগামী ২১ জুলাইয়ে সমাবেশ শেষে ওই দিনই বিকেল চারটে নাগাদ কালীঘাটের বাসভবনে দলীয় সাংসদদের নিয়ে বৈঠকের ডাক দিয়েছেন। সেখানেই উপরাষ্ট্রপতি ভোটে তৃণমূলের অবস্থান ঠিক হবে বলে জানা গিয়েছে। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘এ বিষয়ে আগামী ২১ জুলাই দলনেত্রী বৈঠক ডেকেছেন। তিনিই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। আমি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’’