রাজ্যপালের হেলিকপ্টার।
মুর্শিদাবাদ জেলাপরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন মণ্ডলের নিরাপত্তা রক্ষী প্রত্যাহার করা নিয়ে ফের রাজ্য সরকারের সমালোচনা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বুধবার তিনি মুর্শিদাবাদে যান। বহরমপুরে তিনি বলেন, ‘‘যাঁর রাজনৈতিক আচরণ ঠিক মনে হচ্ছে, তাঁর কাছে নিরাপত্তাকর্মী থাকবে, আচরণ ঠিক মনে না হলে নিরাপত্তার পরিবর্তে হাতকড়ি পড়তে পারে, গণতন্ত্রে এ হওয়া উচিত নয়।’’ রাজ্যপাল সাংবাদিকদের সম্পর্কে বলেন, ‘‘আপনাদের কিছু ক্ষেত্রে চুপ থাকা আমার কানে ঢুকেছে।’’ সেই সঙ্গে, সামনের বছরের বিধানসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘‘নিরপেক্ষ ভাবে যাতে ভোট হয় তা দেখব।’’
বহরমপুরে সার্কিট হাউসে সাংবাদিক বৈঠকে একই ইস্যুতে তিনি বলেন, ‘‘সভাধিপতি গত ১০ নভেম্বর চিঠি লিখে আমাকে বলেছিলেন ২০১৮ সাল থেকে নিরাপত্তারক্ষী পেয়েছিলাম। হঠাৎ করে আমাকে না জানিয়ে তা তুলে নেয়।’’ এর পরেই রাজ্যপাল বলেন, ‘‘নিরাপত্তা ব্যবস্থার রদবদল হতে পারে। তবে তা নিয়ম অনুয়াযী হওয়া উচিত। রাজনৈতিক কারণে সুরক্ষা ব্যবস্থা সরিয়ে নেওয়া গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কুঠারাঘাত করা।’’
যা শুনে জেলা জেলা তৃণমূল সভাপতি আবু তাহের খান বলেন, ‘‘নিরাপত্তারক্ষীর প্রয়োজন হলে সভাধিপতি বলবেন। তাঁর হয়ে রাজ্যপাল ওকালতি করছেন কেন?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘রাজ্যপাল বিজেপির এজেন্ট হিসেবে কাজ করে পদটিকে কুলষিত করছেন। আমরা চাই উনি তাঁর এক্তিয়ারে সীমাবদ্ধ থাকুন।’’
এবিষয়ে জেলাপরিষদের সভাধিপতি বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে যা ঘটেছে তা মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে জানিয়েছিলাম। প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে যা বলার রাজ্যপাল বলেছেন। এর বাইরে কিছু বলব না।’’
নদিয়ার রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের প্রসঙ্গ তুলে এদিন রাজ্যপাল প্রশাসনের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘‘ওই জেলায় দু’জন সাংসদ আলাদা দলের। সরকারি দলের সাংসদের জন্য লালকার্পেট, প্রশাসন নতমস্তক ও সম্মান করছে এবং বিপক্ষদলের সাংসদের সঙ্গে যা হয়েছে তার ভিডিয়ো দেখে আশ্চর্য হয়েছি।’’
বুধবার বহরমপুর সার্কিট হাউসে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি দিয়েছে জেলা বিজেপির এক প্রতিনিধি দল।
সাংবাদিকদের রাজ্যপাল বলেন, ‘‘আপনাদের কিছু ক্ষেত্রে চুপ থাকা আমার কানে ঢুকেছে। রাজ্যপালের ভাষণকে ব্লাক আউট করে দেওয়া, সাংবাদিক বন্ধুদের সে বিষয়ে কিছু না বলা আমাকে এক সংকেত দিচ্ছে।’’