ছবি: সংগৃহীত।
পরীক্ষা ও ফলপ্রকাশে দেরি হওয়ায় তাঁরা বিভিন্ন মেধাবৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারছেন না বলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারীরা বার বার অভিযোগ করছিলেন। উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বৃত্তির জন্য আবেদনের সময়সীমা বাড়ানোর ব্যবস্থা করলেন। শুধু রাজ্য নয়, কেন্দ্রীয় বৃত্তির জন্যও আবেদন করার মেয়াদ বাড়াতে বিভিন্ন স্তরে যোগাযোগ করেন তিনি।
উপাচার্যের এই উদ্যোগের ফলে যাদবপুরের পড়ুয়ারা মেধাবৃত্তির আবেদন করতে বাড়তি সময় পাচ্ছেন। রাজ্যের বৃত্তির জন্য আবেদনের শেষ তারিখ ৩১ জানুয়ারি। কেন্দ্রের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ (ডিএসটি), এআইসিটিই এবং ইউজিসি ইন্দিরা গাঁধী স্কলারশিপের জন্য ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ মিলবে।
পড়ুদের অভিযোগ, ভর্তি, পরীক্ষা ও ফলপ্রকাশের অনলাইন প্রক্রিয়ায় (জুমস) গলদের জেরে ফলপ্রকাশে দেরি হয়েছে। প্রকাশিত ফলেও নানা অসঙ্গতি রয়েছে। ফলে অনেক পড়ুয়া চাকরির ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েছেন। আটকে গিয়েছে বৃত্তি। এই সব অভিযোগে ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির ছাত্র সংসদ (ফেটসু) ও অন্য পড়ুয়ারা আন্দোলন চালাচ্ছেন। পড়ুয়ারা যাতে বৃত্তি থেকে বঞ্চিত না-হন, সুরঞ্জনবাবু তার জন্য স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ইউজিসি-র চেয়ারম্যান, এআইসিটিই-র চেয়ারম্যান, ডিএসটি-র সচিব এবং রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের সঙ্গে কথা বলেন। ‘‘মেধাবৃত্তি মিলবে না বলে ছাত্রছাত্রীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। তারা যাতে কোনও কিছু থেকে বঞ্চিত না-হয়, সেই চেষ্টাই করেছি,’’ বলেন সুরঞ্জনবাবু।
ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন অমিতাভ দত্তের পদত্যাগপত্র বুধবারেও গ্রহণ করেননি সুরঞ্জনবাবু। চিঠিতে তাঁকে পদ না-ছাড়তে অনুরোধ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের খবর, অমিতাভবাবু অসুস্থ। ফোনে ফেটসু-র এক নেতার অমার্জিত ব্যবহারে ব্যথিত হয়ে উপাচার্যের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান তিনি। এ দিন ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির বৈঠকে ফেটসু অনলাইনে তাদের দাবি সংবলিত স্মারকলিপি জমা দেয়।