স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সৌজন্য সাক্ষাৎকে ‘নিয়ম’ হিসাবেই দেখছেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে রাজনৈতিক ব্যবধান সত্ত্বেও বিধানসভার সমস্ত কর্মসূচিতে দু’জনেই সমান ভাবে অংশগ্রহণ করবেন, সেটাই প্রত্যাশিত।
শনিবার জাতীয় সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠানে বিধানসভায় উপস্থিত ছিলেন স্পিকার। সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “কার সঙ্গে বিধানসভার বাইরে কী সম্পর্ক জানি না। কিন্তু বিধানসভার ভিতরে কী হচ্ছে সেটাই আমি দেখব।” বিরোধী দলনেতাকে দেখা করার আমন্ত্রণ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী দলের ঊর্ধ্বে ওঠার বার্তা দিয়েছেন বলেও মনে করেন তিনি। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, বিধানসভার কোনও অনুষ্ঠানে বিরোধীদের ডাকা হলেও তাঁরা আসেন না।
শাসক-বিরোধী উভয় পক্ষকেই ভাষা ব্যবহারে সংযত হতে বলেছেন স্পিকার। তাঁর কথায়, “বিধানসভার ভাষাই এখানে প্রয়োগ করা হোক। বাইরের ভাষা চলে না। এটা অনেকেই বোঝেন না। বোঝা উচিত।”
একদা দলীয় সতীর্থ। কিন্তু গত বিধানসভা ভোটের আগে রাজনৈতিক মত এবং পথ আলাদা হয়ে যায় দু’জনের। একই কেন্দ্রে পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন দু’জন। তার পর তাঁদের একে অপরের প্রতি চড়া সুরে আক্রমণ শানাতেই দেখেছেন রাজ্যবাসী। শুক্রবার সেই শুভেন্দু অধিকারী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে সাক্ষাৎ হওয়া নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়। মমতা শুভেন্দু প্রসঙ্গে বলেন, ‘ভাইয়ের মতো ভালবাসতাম’। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য প্রসঙ্গে স্পিকারকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ওঁকে (শুভেন্দু) সেভাবেই দেখে এসেছেন। শিশিরবাবুকে সম্মানের চোখেই দেখা হয়। তাঁকে শ্রদ্ধা করি।” এই প্রসঙ্গে তাঁর সংযোজন, “দল পরিবর্তন করলেই ব্যক্তিগত সম্পর্ক খারাপ হতে হবে, এমনটা মনে করি না। সবার সংযত ভাষা ব্যবহার করা উচিত।”