ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মানুষদের নিজেদের সচেতন হতে হবে বলে জানিয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। —ফাইল চিত্র।
ডেঙ্গি মোকাবিলায় যেন কোনও রকম পরিকাঠামোগত ফাঁক না থাকে তা পর্যবেক্ষণ করতে কলকাতার ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডে শনিবার সকালে হাজির হয়েছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কাউন্সিলর অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিধায়ক মলয় মজুমদার। ডেঙ্গি সংক্রমণ নিয়ে মেয়র ফিরহাদ জানান, তাঁদের দিক থেকে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এলাকার মানুষদের আরও সাবধান হতে হবে। এলাকা পরিদর্শনও করেছেন তিনি।
ফিরহাদ জানান, কলকাতার রাস্তা পরিষ্কার রাখার সঙ্গে সঙ্গে অ্যান্টি-লার্ভা স্প্রে ছড়ানোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তার সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে সচেতনতার বার্তা। কিন্তু, সব শেষে মানুষদের নিজেদের সচেতন হতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ফিরহাদ বলেন, ‘‘কিছু ক্ষণ আগে একটি বাড়ির সামনে খালি জায়গায় গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখলাম, কিছু দইয়ের হাঁড়ি পড়ে রয়েছে। ওই হাঁড়িতে জল জমে ডেঙ্গির মশা হলে আমাকে গিয়ে চেতলায় কামড়াবে না। এখানকার লোককেই কামড়াবে। নিজের বিপদ নিজেই ডেকে নিয়ে আসছি।’’
ডেঙ্গি নিয়ে সচেতন করার পরেও যাঁরা নিয়ম মেনে চলছেন না, তা নিয়ে আইন আনার চিন্তাভাবনা করছেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, ‘‘প্রত্যেক বাড়ির সামনে একটা করে পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকবে, কলকাতায় এত পুলিশ নেই।’’
১০৯ নম্বর ওয়ার্ডে সিংহবাড়ির কাছে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের এক কর্মসূচিতে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মলয় মজুমদার। নিজস্ব চিত্র।
কারও বাড়ির ছাদে জল জমে থাকলে বা এসির ভেন্টে জল জমে থাকলে সেখান থেকেও ডেঙ্গির মশা ছড়াতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। তাই মানুষদের নিজেদের স্বার্থে সচেতন হতে হবে বলে জানিয়েছেন কলকাতার মেয়র।
প্রসঙ্গত, সরকারি স্তরে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় যুক্ত চিকিৎসক, নার্স ও হাসপাতালের কর্তাদের নিয়ে বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য দফতরের তরফে অনলাইনে বৈঠক করা হয়েছিল। ডেঙ্গি প্রতিরোধ কর্মসূচির বিষয়ে বিভিন্ন পুরসভার কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ফিরহাদও।
বৈঠকে তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন, ওয়ার্ডের সাফাইকর্মীদের নিয়ে সপ্তাহে অন্তত এক দিন এলাকা পরিদর্শন করবেন স্থানীয় কাউন্সিলর। এক সপ্তাহের মধ্যে কলকাতা-সহ সারা রাজ্যেই ডেঙ্গির প্রকোপ কমবে বলে আশাও প্রকাশ করেছিলেন তিনি। নভেম্বরে কলকাতায় পারদ পতনের সঙ্গে সঙ্গে মশার লার্ভা আর নতুন করে জন্মাতে পারবে না বলেও তখন জানিয়েছিলেন। সে ক্ষেত্রে ডেঙ্গিকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে বলে তাঁর আশা।