নওশাদ সিদ্দিকি (বাঁ দিকে)। কলকাতা হাই কোর্ট (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই আবহে আগাম জামিনের আবেদন জানিয়ে শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন নওশাদ সিদ্দিকি। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। সোমবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন এক তরুণী। তিনি মুর্শিদাবাদের ডোমকলের তৃণমূল নেত্রী। শাসক দলের পদেও রয়েছেন। অভিযোগকারিণী ডোমকল শহর কমিটির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক। ওই তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতার বৌবাজার থানায় নওশাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের হয়েছে।
এই অভিযোগ প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনকে নওশাদ বলেছেন, ‘‘রাজ্য সরকার আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করেছে। কখনও খুনের চেষ্টা, কখনও অস্ত্রসমেত খুন— বিভিন্ন মামলা দায়ের করেছে। এমনকি, ৪২ দিন জেলেও রেখেছিল। এটা ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই নয়। সময় এলে এ নিয়ে মুখ খুলব। অপেক্ষা করছি।’’
এফআইআরে অভিযোগকারিণী জানিয়েছেন, দেড় বছর আগে তাঁকে বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে নিজের অফিসে আটকে রেখে ধর্ষণ করেছেন নওশাদ। পরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েও বেশ কয়েক বার সহবাস করেছেন আইএসএফ বিধায়ক। অভিযোগ, এর পর অভিযোগকারিণী বিয়ের জন্য চাপ দিলে তাঁকে এড়িয়ে যেতে থাকেন নওশাদ। বিধায়ক কখনও নিজে, কখনও সহকারীদের দিয়ে তরুণীকে হুমকি দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগকারিণীর দাবি।
বুধবার নিউ টাউন থানায় প্রথম অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী। থানা থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছিলেন, ‘‘এখনই কিছু বলতে চাইছি না। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁকে জিজ্ঞাসা করুন। জিডি (জেনারেল ডায়েরি) করেছি। শারীরিক হেনস্থা করা হয়েছে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভঙ্গ করেছেন নওশাদ সিদ্দিকি।’’ তার পরেই বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (নিউ টাউন) একটি চিঠি-সহ তরুণীর অভিযোগ বৌবাজার থানায় পাঠিয়ে দেন। সেখানেই এফআইআর হয়। নিউ টাউন থানায় অভিযোগকারিণী যখন যান, তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিধাননগর পুরসভার চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত। তৃণমূলের তরফে ভাঙড়ে পঞ্চায়েত ভোট প্রচারের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি।