গ্রাফিক : শৌভিক দেবনাথ
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপি ভাল ফল করার পরেই ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাককে ডাকে তৃণমূল। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক পরামর্শ নিতেই ডেকেছিল বাংলার শাসকদল। টানা দু’বছর তৃণমূলের সঙ্গে কাজও করেছে আইপ্যাক। কিন্তু কী অবস্থায় তারা রাজ্যে আসে তার ব্যাখ্যা দিতে সংস্থার ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়েছে অন্য কথা। বলা হয়েছে, সেই সময় মূল বিষয়ই ছিল রাজ্যে থাকা প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া। স্থানীয় স্তরে সেই হাওয়াকে আরও জটিল করে দিয়েছিল রাজ্যে বেড়ে ওঠা সাম্প্রদায়িক অশান্তির ভয়। ওয়েবসাইটে একই সঙ্গে দাবি করা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে আইপ্যাক কাজ শুরুর সময়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি ও হিংসার খবরও সামনে আসছিল।
তৃণমূলই প্রথম নয়, অতীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ করেছে পিকে-র সংস্থা। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-র সঙ্গে থাকা আইপ্যাক ২০২১ সালে বাংলায় তৃণমূলের পাশাপাশি তামিলনাড়ুতে স্ট্যালিনের ডিএমকে-র হয়ে কাজ করেছে। তারও আগে কখনও বিহারে নীতিশ কুমার, মহারাষ্ট্রে শিবসেনা, পঞ্জাবে অকালি দল, দিল্লিতে আম আদমি পার্টি, উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের হয়ে কাজ করেছে। সংস্থার ওয়েবসাইটে আইপ্যাক প্রতিটি জায়গায় তাদের কাজ শুরুর সময়ে কী কী চ্যালেঞ্জ ছিল তার যেমন উল্লেখ করেছে, তেমনই সংস্থা কী পদক্ষেপ করেছিল এবং ফল কেমন হয়েছে তার উল্লেখও রেখেছে।
আইপ্যাক-এর সাইটে যা লেখা রয়েছে।
বাংলায় তৃণমূলের সঙ্গে কাজ করতে আসার সময়টা খুবই উদ্বেগজনক ছিল বলে নিজেদের ওয়েবসাইটে দাবি করেছে আইপ্যাক। বাংলায় তৃণমূলের সাফল্যের জন্য আইপ্যাক কী কী কাজ করেছে তার সংক্ষিপ্ত উল্লেখও রয়েছে। বলা হয়েছে, ‘বাংলার গর্ব মমতা’, ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বের উপরে নতুন করে সাধারণের বিশ্বাস তৈরি করার কাজ করে আইপ্যাক। রাজ্যের জন্য খুব সুন্দর ব্লুপ্রিন্ট তৈরির কাজেও আইপ্যাকের অংশগ্রহণ ছিল বলে দাবি করা হয়েছে।
কী অবস্থায় কাজ করতে আসা, কী কী কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে তার উল্লেখের পাশাপাশি সেই কাজের প্রভাবের কথাও রয়েছে আইপ্যাকের ওয়েবসাইটে। সেখানে লক্ষ্মীর ভান্ডার, দুয়ারে রেশন, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড চালুর বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে দাবি করা হয়েছে, মমতা সরকারের অন্যতম জনপ্রিয় প্রকল্প কৃষকদের একর পিছু ১০ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথাও। বলা হয়েছে এর ফলে রাজ্যের ৬৮ লাখ গরিব ও প্রান্তিক কৃষক পরিবার উপকৃত হচ্ছে।