সামসুজ্জোহা বিশ্বাস। নিজস্ব চিত্র
প্রশ্ন: নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে জেলবন্দি জেলার এক বিধায়ক, আর এক বিধায়কের বাড়ি ও কারখানা থেকে কয়েক কোটি টাকা আটক করেছে আয়কর দফতর। মানুষকে কী জবাব দেবেন?
উত্তর: আদালতে যদি কেউ দোষী প্রমাণিত হন, তার দায়ভার তো দল নেবে না। এক বিধায়কের বাড়ি থেকে আয়কর যে টাকা উদ্ধার করেছে, তার থেকে অনেক বেশি প্রচার হচ্ছে। ওই বিধায়কের সব নথিও রয়েছে। ওই টাকা বৈধ। সেটাই আমরা মানুষকে বলছি।
প্রশ্ন: বাংলা আবাস যোজনা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ কেন?
উত্তর: এই যোজনা খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল একাধিক বার এসেছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তারা দুর্নীতির কোনও প্রমাণ পায়নি।
প্রশ্ন: আপনার এবং হরিহরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক নিয়ামত শেখের উপস্থিতিতে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) তাঁর অফিস চত্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। বিভিন্ন জায়গায় সরকারি আধিকারিকদের উপরে আপনাদের দলের নেতা-কর্মীরা চড়াও হচ্ছেন বলেও অভিযোগ।
উত্তর: সে দিন আমাদের সামনে আকস্মিক ভাবে দু’-এক জন বদমাইশ লোক মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের উপরে হামলা করেছিল। ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং দুঃখজনক। যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, সঙ্গে সঙ্গেই তাদের গ্রেফতার করানোর ব্যবস্থা করেছি।
প্রশ্ন: জেলা পরিষদ-সহ ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে ঠিক মতো টাকা খরচ হয় না বলে অভিযোগ উঠেছে।
উত্তর: এক বছর জেলা পরিষদের সভাধিপতি পদ শূন্য ছিল। ফলে একটা সময়ে জেলা পরিষদে কিছু অর্থ পড়ে ছিল, তা ঠিক। কিছু গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরেও টাকা পড়ে ছিল। মাস ছয়েক আগে জেলা জুড়ে পড়ে থাকা টাকার পরিমাণ ছিল প্রায় ১৫৭ কোটি। তখন বৈঠক করে সেই টাকা খরচে উদ্যোগী হই। অধিকাংশ টাকাই খরচ হয়েছে।
প্রশ্ন: একশো দিনের কাজ জেলায় কেমন হয়েছে?
উত্তর: কেন্দ্র টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। তাই আমরা টাকা দিতে পারছি না।
প্রশ্ন: তার ফলে কি জেলায় কর্মসংস্থান কমেছে? পরিযায়ী শ্রমিকদের সংখ্যা বেড়েছে?
উত্তর: কাজ নেই বলে পরিযায়ী শ্রমিকেরা বাইরে যাচ্ছেন, এটা ঠিক নয়। আমরা ক্ষুদ্র কুটির শিল্পের মাধ্যমে জেলায় কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা নিরন্তর করে চলেছি।
প্রশ্ন: কাটমানি নিয়ে প্রায় অভিযোগ ওঠে আপনাদের দলের নেতা ও ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে। কেন?
উত্তর: দরপত্রে যে দাম বেঁধে দেওয়া হয়, তার থেকে ২০-৩০ শতাংশ কমে কাজ করে ঠিকাদার সংস্থাগুলি। এত কম দামে কাজ করার পরেও ঠিকাদারেরা কাটমানি দেবেন? এই অভিযোগের ভিত্তি নেই।
সাক্ষাৎকার: সামসুদ্দিন বিশ্বাস