ফের রাজ্যে আসতে চলেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। —ফাইল চিত্র।
রাজ্যে করোনা চিকিৎসায় ‘বিভ্রাট’ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলায় হলফনামা দিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। তার আগে পরিস্থিতি দেখতে পশ্চিমবঙ্গে ফের প্রতিনিধিদল পাঠাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ওই মন্ত্রকের যুগ্মসচিব পীযূষ গয়ালের নেতৃত্বে ওই দল মঙ্গলবার দিনভর নবান্ন, স্বাস্থ্য ভবন এবং কয়েকটি করোনা চিকিৎসা কেন্দ্র ঘুরে দেখেছে।
আগামী সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা পেশ করে রাজ্যে করোনা সংক্রমণের অবস্থা জানাবে কেন্দ্র। বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে সঙ্গে এর আগে অপূর্ব চন্দ্র এবং বিনীত জোশীর নেতৃত্বে আসা কেন্দ্রীয় দলের রিপোর্টও নজরে রাখবে তারা। রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ বলেন, ‘‘জনস্বার্থ মামলায় রাজ্য ও কেন্দ্র দুই সরকারকেই হলফনামা দিতে হবে। কেন্দ্রীয় দলের সঙ্গে আলোচনায় আমরা বিস্তারিত ভাবে পরিস্থিতির কথা জানিয়েছি। করোনা মোকাবিলায় বাংলা ভাল কাজ করেছে। দিল্লিকে তা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।’’
স্বাস্থ্য ভবনে এ দিন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের সঙ্গেও দীর্ঘ বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধিরা। সেখান থেকে তাঁরা যান চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতালের নিউটাউন ক্যাম্পাসে। তার পরে যান বেলেঘাটা আইডি এবং এমআর বাঙুর হাসপাতালে। এ দিন কোয়েস্ট মল এবং টলি ক্লাবে গিয়েও করোনা সুরক্ষা বিধি কী ভাবে মেনে চলা হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখেন তাঁরা। বেলেঘাটা আইডির সিসিইউ এবং আইবি-২ ওয়ার্ডে গিয়ে তাঁরা কথা বলেন নার্সদের সঙ্গে। চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের যাতায়াতে কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না, সে-সব নিয়ে খোঁজ করেন। সম্প্রতি আইডি হাসপাতালে করোনা থেকে সেরে ওঠা রোগীদের নিয়েও একটি ক্লিনিক তৈরি চালু করা হয়েছে। এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা।
আজ, বুধবার কেন্দ্রীয় দলের হাওড়া ঘুরে দেখার কথা। তবে কাল, বৃহস্পতিবার তারা কোথায় যাবে, তা জানায়নি। রাজ্যের পিপিই বা বর্মবস্ত্র, মাস্ক-সহ নানান স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কেনা নিয়ে কিছু অভিযোগ জমা পড়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে। কেন্দ্রীয় দল সেই সব বিষয়েও খোঁজখবর করছে। বিমানবন্দরে সুরক্ষা বিধি মানা হচ্ছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখেন কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধিরা।