‘ইলিশ পক্ষ ২.০’
মাছের রানি ইলিশ। আর ইলিশ মানেই বাঙালির এক অন্য আবেগ! বাঙালির সেই ইলিশ-প্রেমকেই আরও কিছুটা উস্কে দিতে দক্ষিণ কলকাতার প্রিন্সটন ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘ইলিশ পক্ষ ২.০’। আয়োজনে ‘ডক্টরস চয়েজ়’। গত বছরও দারুণ সাফল্য পেয়েছিল এই অনুষ্ঠান। এ বার দ্বিতীয় বর্ষে পদার্পণ করল ‘ইলিশ পক্ষ ২.০’। ইলিশের এই মহাপার্বণে পাতুরি, টক, ঝোলে, ঝালে জমে উঠেছিল মহাভোজের আসর। রান্নার প্রতিযোগিতা, গান সব মিলিয়ে এক কথায় জমজমাট হয়ে উঠেছিল এই উৎসব।
অনুষ্ঠানের আগে ‘ডক্টরস চয়েজ়’-এর উদ্যোগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিশেষ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রায় ৩০০০ জন মহিলা যোগ দিয়েছিলেন তাতে। তাঁদের রান্না করা ইলিশ মাছের বিভিন্ন পদের ভিত্তিতে নির্বাচিত ২৫ জনকে ডাকা হয় এই অনুষ্ঠানে। ‘ডক্টরস চয়েজ় কুকিং অয়েল’ দিয়ে তাঁরা রান্না করেন দারুণ স্বাদের এক একটি ইলিশের পদ। বাঙালি থেকে কন্টিনেন্টাল, সব ঘরানার পদই ছিল তালিকায়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথিদের মধ্যে ছিলেন অভিনেতা অম্বরীশ ভট্টাচার্য এবং সঙ্গীতশিল্পী লোপামুদ্রা মিত্র। গানে, গল্পে, আড্ডায় তাঁরাও জমিয়ে দিয়েছিলেন 'ইলিশ পক্ষ'। লোপামুদ্রার কথায়, “ভূমিকম্প হয়ে গেলেও পাতে ইলিশ থাকলে শেষ না করে উঠব না!”
‘ডক্টরস চয়েজ়’-এর মার্কেটিং অ্যান্ড প্রমোশনস হেড শিবম আগরওয়াল বলেন, “বাঙালিদের আবেগকে উদ্যাপন করতেই এই ইলিশ পক্ষ। চিংড়ি মাছেদের রাজা হলে, ইলিশ মাছেদের রানি। আমরা প্রত্যেক ক্রেতাকে এই আবেগের সঙ্গে জুড়তে চেয়েছি”। সংস্থার মার্কেটিং অ্যান্ড সেল্সের ডিরেক্টর গোপাল সরাফ বলেন, “আমাদের সর্ষের তেলের ঝাঁঝে বাংলার ইলিশের স্বাদ আরও বাড়ে”।
প্রিন্সটন ক্লাবের এক্সিকিউটিভ শেফ অভিজিৎ চক্রবর্তীর মতে, “বাঙালিরা এখন কন্টিনেন্টালের দিকে ঝুঁকেছে। তাই আমরা ফিউশন করে ইলিশ সিজ়লার বানিয়েছি”।
‘ইলিশ পক্ষ ২.০’-এর একটি বিশেষ উদ্যোগ হিসেবে ছিল ইলিশ নিলাম। এই নিলামে সংগৃহীত ২০ হাজার টাকা 'ক্যাফে পজিটিভ'-কে ডোনেট করা হয়েছে। যা নিঃসন্দেহে একটি অভিনব উদ্যোগ। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককে একটি করে শংসাপত্রও দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে স্বাদে, সাধে জমজমাট উদযাপনে শেষ হয় ‘ডক্টরস চয়েজ়’ আয়োজিত ‘ইলিশ পক্ষ ২.০’।
অনুষ্ঠানের ডিজিটাল মিডিয়া পার্টনার আনন্দবাজার অনলাইন।