আব্বাস সিদিকি ফাইল চিত্র
জোট না হলে নীলবাড়ি দখলের লড়াইয়ে ৬০-৬৫টি আসনে প্রার্থী দেবে আব্বাস সিদ্দিকির দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ)। সোমবার পর্যন্ত তাদের সঙ্গে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের জট খোলেনি। বামফ্রন্টের সঙ্গে আসন রফা ৮০ শতাংশ এগিয়ে গেলেও, কংগ্রেসের সঙ্গে আসন নিয়ে দড়ি টানাটানির জেরে এখনও চূড়ান্ত হয়নি জোট। আইএসএফ সূত্রের খবর, তারাও ভোটে একক ভাবে লড়াইয়ের প্রস্তুতি রাখছে। অন্তত ৬০ থেকে ৬৫ আসনে তারা প্রার্থী দিতে পারে।
গত কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন জেলায় গিয়ে জনসভা করে নিজেদের রাজনৈতিক জমি তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন আব্বাস। সেই সুবাদেই আইএফএসের রাজনৈতিক শক্তির অনুমানও রয়েছে। রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত সিপিএমের সদর দফতর আলিমুদ্দিন ষ্ট্রিটে বিমান বসু ও মহম্মদ সেলিমের সঙ্গে বৈঠক করেন আইএসএফ-এর চেয়ারম্যান নৌসাদ সিদ্দিকি। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন রফা চূড়ান্ত করার জন্য বিমানবাবুকেই দায়িত্ব নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
যদিও, সোমবার রাত পর্যন্ত আইএসএফ নেতৃত্বকে আসন রফা প্রসঙ্গে কিছুই জানানো হয়নি কংগ্রেস বা বামেদের তরফে। কারণ, বামফ্রন্টের প্রায় সব শরিকদের সঙ্গে আসন সমঝোতা হয়ে গেলেও, কংগ্রেসের সঙ্গে বেশ কিছু আসন নিয়ে মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে আব্বাসের দলের। তাই এখন জোট ঘোষণা সেই ‘বিন্দু’তেই আটকে রয়েছে বলে সূত্রের খবর। কংগ্রেসের অবস্থান প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান বলেছেন, ‘‘এ বিষয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবেন আমাদের সভাপতি অধীর চৌধুরীই।’’
পরিস্থিতি বিবেচনা করে জোট ছাড়া কী ভাবে ল়ড়াই করা যায়, সেই ভাবনা শুরু হয়েছে আইএসএফ নেতৃত্বের মধ্যে। অল্প দিনেই দক্ষিণবঙ্গ তো বটেই উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় রাজনৈতিক প্রভাব বাড়িয়েছে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। ২৯৪টি আসন না হলেও, রাজ্যের ৬০-৬৫টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার মতো সাংগঠনিক শক্তি রয়েছে আইএসএফ-এর। তাই কোনও কারণে জোট ভেস্তে গেলে যাতে একক সাংগঠনিক শক্তি নিয়ে ভোটে লড়াই করা যায়, সে বিষয়টিও মাথায় রয়েছে তাদের।
জোট ছা়ড়া কী ভোটযুদ্ধ সম্ভব? জবাবে নৌসাদ বলেন, ‘‘আমরা বহু আগে থেকেই ভোটে লড়াই করার প্রস্তুতি শুরু করেছিলাম। তখন জোটের কথাই ওঠেনি। বর্তমানে ৬০-৬৫টি আসনে আমাদের সাংগঠনিক শক্তি রয়েছে। যেমন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার রায়দিঘি, কুলপি, মন্দিরবাজারের মতো বিধানসভায় সাংগঠনিক শক্তি রয়েছে আমাদের। কিন্তু জোট হলে আমরা এই সব আসনে প্রার্থী দেব না। বরং জোট শরিক বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের ভোটবাক্সে পাঠানোর বিষয়ে উদ্যোগী হব। কিন্তু জোট কোনও কারণে না হলে, তখন পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নেব।’’