—প্রতীকী ছবি।
উচ্চ মাধ্যমিক, সিবিএসই, আইএসসি বা স্বীকৃত যে কোনও বোর্ডের কোনও পরীক্ষার্থীর মা-বাবা যদি শিক্ষক হন, তা হলে তিনি পরীক্ষা চলাকালীন ছুটি পাবেন। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য রবিবার এই কথা জানিয়েছেন।
এর আগে সংসদ একটি নোটিস দিয়ে জানিয়েছিল, শুধুমাত্র চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনও জরুরি বিষয় ছাড়া কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন ছুটি পাবেন না। সংসদের এই বিজ্ঞপ্তি ঘিরে অসন্তোষ তৈরি হয় শিক্ষক মহলে। তাঁরা জানান, মাধ্যমিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষকরা এই ছুটি পেলে উচ্চ মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে পাওয়া যাবে না কেন?
রবিবার চিরঞ্জীব বলেন, ‘‘আমরা ওই বিজ্ঞপ্তি কিছুটা পাল্টে জানাচ্ছি, উচ্চ মাধ্যমিকের ক্ষেত্রেও পরীক্ষার্থীর মা-বাবারা যদি শিক্ষক হন, তা হলে তাঁরা ছুটি পাবেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাঁদের আবেদন করতে হবে।’’
যদি মা এবং বাবা উভয়েই শিক্ষক হন, তা হলে যে কোনও একজন সেই ছুটি পাবেন। যিনি পাবেন না, তিনি স্কুলে গেলেও পরীক্ষা সংক্রান্ত কোনও কাজ করতে পারবেন না। অন্য কাজ করবেন। ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা।
এক সংসদ কর্তা জানিয়েছেন, এ বার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাতেও মাধ্যমিকের মতোই প্রশ্নপত্রে ইউনিক নম্বর থাকবে। সেই নম্বর পরীক্ষার্থীকে উত্তরপত্রের সঙ্গে হাজিরা খাতাতেও লিখতে হবে। সংসদ জানিয়েছে, পরীক্ষার্থীরা সেই ইউনিক নম্বর উত্তরপত্রে তার নামের রেজিস্ট্রেশন নম্বরের নীচে লিখছে কিনা, তা হলের পরিদর্শককে দেখতে হবে। ইউনিক নম্বর লেখা থাকলে তবেই তিনি উত্তরপত্রে নিজের স্বাক্ষর করবেন। প্রতিটি প্রশ্নের পাশেও থাকবে কিউআর কোড। প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে বাইরে পাঠালেই সেই প্রশ্ন কোথা থেকে বাইরে যাচ্ছে তা সঙ্গে সঙ্গে ধরে ফেলা যাবে।