Abhishek Banerjee

আগামী ২০ বছর সরকারের থেকে নিজেকে দূরেই রাখবেন অভিষেক

‘‘আগামী ২০ বছর সরকারে কোনও পদ নেব না।’’ সাফ জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০২১ ১৯:১২
Share:

তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজস্ব চিত্র।

আগামী ২০ বছর রাজ্য সরকারের কোনও পদ নেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার কর্মসমিতির বৈঠকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য বরিষ্ঠ নেতারা তাঁকে সর্বভারতীয় সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে উন্নীত করেছেন। দায়িত্ব পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পরে সংবাদমাধ্যমে মুখোমুখি হয়ে একথা বলেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। তিনি বলেন, ‘‘আমি অন রেকর্ড বলছি, আমি কোনও সরকারি অফিসের ব্যবহার করব না। আমি জনতার দ্বারা নির্বাচিত, আমি সাংসদ। আমাকে কেউ প্রশ্ন করেন, আপনি কবে মন্ত্রী হবেন? কেউ প্রশ্ন করে আপনি রাজ্য সরকারে কবে আসবেন? আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমি রাজ্য সরকারের কোনও পদ নেব না। মন্ত্রিসভার সদস্য হব না। আমি বলে দিতে চাই, আগামী ২০ বছর কোনও সরকারি পদ নেব না। আমার এই কথাগুলো রেকর্ড করে রাখুন।’’

Advertisement

একথা বলেই তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, ‘‘জয় শাহ কী বলতে পারবেন আগামী ২০ বছরের মধ্যে তিনি কখনও বিসিসিআইয়ে সভাপতি হবেন না। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, তাঁকে সম্মান দিয়েই বলছি।’’ অভিষেকের আরও আক্রমণ, ‘‘আমি অমিত মালব্যকে বলব তিনি যেন এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন।’’

সরকারি পদে যোগ না দিয়ে বরং অভিষেক আগ্রহ প্রকাশ করেছেন সংগঠনের কাজকর্মে দিকে। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি আগামী ২০ বছর সংগঠনে মন দিয়ে কাজ করতে চাই। আর আমি বলে দিতে চাই, তৃণমূলই এমন একটি রাজনৈতিক দল, যাঁরা এক নেতা এক পদ পদ্ধতি চালু করতে চলেছে। আর একটি রাজনৈতিক দলের নাম করুন, যাঁরা এই পদ্ধতি নিজেদের দলে চালু করেছে? কেউ করেনি।’’ অভিষেকের আরও জবাব,‘‘আমরা এক নতুন দিশায় যাওয়ার চেষ্টা করছি। আর বিজেপি পরিবারতন্ত্রের কথা বলছে? সেই আক্রমণের জবাব তো ভোটে পেয়ে গিয়েছেন। আমি তাঁদের পরিবারতন্ত্রের অভিযোগের জবাবে বলতে চাই, অনেক ডাইনাস্টি ইস বেটার দ্যান ন্যাস্টি।’’ প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-র বেশিরভাগ আক্রমণ ছিল অভিষেককে কেন্দ্র করেই। বিজেপি নেতারা অভিযোগের সুরে বলেছিলেন, ‘‘মমতা আসলে তাঁর ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানোর চেষ্টা করছেন।’’ সোমবারের সাংবাদিক বৈঠকে সেই অভিযোগকেই নস্যাৎ করে দিয়েছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement