রত্না চট্টোপাধ্যায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায় নিজস্ব চিত্র।
শোভন চট্টোপাধ্যায় কোনও বিপদে পড়লে তিনি আর যাবেন না বলে জানিয়ে দিলেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। বুধবার বৈশাখী নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টের নাম বদল করে লেখেনবৈশাখী শোভন ব্যানার্জি। সঙ্গে লেখেন, ‘দা জার্নি ফ্রম মি টু উই বিগিন’। একথা সকালেই অনুগামীদের থেকে জানতে পারেন রত্না। পরে নিজের প্রতিক্রিয়ায় রত্না বলেন, ‘‘শোভনের বিপদে আর কোনও দিন যাব না।’’
শোভন-বৈশাখী প্রসঙ্গে উষ্মা প্রকাশ করে রত্না বলেন, ‘‘আমি আর ওদের নিয়ে কোনও কথা বলতে চাই না। এদিকে নজর দিতে গিয়ে আমার সব কাজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এখন শুধু আমি রত্না চট্টোপাধ্যায় নই। আমাকে মুখ্যমন্ত্রী একটি বিধানসভার দায়িত্বও দিয়েছেন। ওরা ওদের কাজ করুক। আমি যে দায়িত্ব পেয়েছি, সেই দায়িত্ব পালন করতে চাই।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘শোভন কোনও বিপদে পড়লে আমি আর যাব না।’’ নিজের এমন অবস্থান প্রসঙ্গে বেহালা পূর্বের বিধায়কের ব্যাখ্যা, ‘‘আর যাব না, তার কারণ অপমানিত হওয়ার একটা সীমা আছে। মান অপমান বোধ নিয়েই তো মানুষ। সিবিআইয়ের দফতরে যাওয়া থেকে হাসপাতালে যা যা হয়েছে, সবাই দেখেছে। তাই আর কখনও এমন পরিস্থিতি এলে, আমিযাব না।’’
প্রসঙ্গত, ১৭ মে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্রর সঙ্গে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআইগ্রেফতার করার পর বেহালা বাড়ি থেকে নিজাম প্যালেসে হাজির হন রত্না। শোভনের জন্য আইনি ব্যবস্থা করা থেকে শুরু করে পুত্র ঋষি-কে দিয়ে চিকিৎসার বন্দোবস্ত করেছিলেন রত্নাই। কিন্তু পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আইনি চিঠি ধরিয়ে স্ত্রী-পুত্র-কন্যার প্রবেশ বন্ধ করে দেন শোভন। সঙ্গে রত্নার থেকে কোনওরকম সাহায্য নিতেও অস্বীকার করেছিলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র। এবার রত্নাও জানিয়ে দিলেন, তিনিও আর শোভনের কোনও বিপদে পাশে দাঁড়াতে যাবেন না।
বৈশাখীর ফেসবুকের নতুন দেওয়ালে চোখ রাখতে চান না রত্না। তিনি বলেছেন,‘‘ওদের কোনও পোস্ট দেখি না বা ভিডিয়ো দেখি না। অন্যের মুখেই ওদের কথা শুনতে হয়। যা আমার একদম ভাল লাগে না। প্রত্যেক মানুষের ব্যক্তিগত জীবন থাকে, আমারও আছে। তাই অযথা ওদের কথা ভাবা বা মনে করার কোনও অর্থ হয় না।’’ বেহালা পূর্বের বিধায়ক আরও বলেন, ‘‘আমি অনুরোধ করবসংবাদমাধ্যম যদি ওদের গুরুত্ব না দেয়, তাহলে ওরাও এমন সব কাণ্ডকারখানা বন্ধ করবে। সংবাদের শিরোনামে বেঁচে থাকার জন্য, এমন করছে। রোজ সকালে মিডিয়ায় মুখ দেখানোর ইচ্ছে ওদের আছে। তাই তো প্রতিদিন এমন সব করে। তাতে বদনাম হোক আর সুনামই হোক।’’